বাংলা হান্ট ডেস্ক: কিছুদিন আগেই মালদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) রীতিমতো চোখ রাঙিয়েছিলেন ভারতের (India) দিকে। কিন্তু, কয়েক সপ্তাহ যেতে না যেতেই তিনি নিজেই পরেছেন চরম সমস্যায়। শুধু তাই নয়, এখন তিনি নিজের পদ বাঁচাতেই হিমশিম খাচ্ছেন। মালদ্বীপের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রধান বিরোধী দল এমডিপি, প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর অপসারণের জন্য শীঘ্রই ইম্পিচমেন্ট প্রস্তাব পেশ করতে চলেছে বলে খবর মিলেছে।
এদিকে, এর আগে গত রবিবার চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার চার সদস্যের অনুমোদনের প্রসঙ্গে মতপার্থক্যকে ঘিরে সংসদে সরকারপন্থী সাংসদ ও বিরোধী দলীয় সাংসদদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। “সান ডট কম” একজন এমডিপি সাংসদকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “ডেমোক্র্যাটদের সাথে অংশীদারিত্বে এমডিপি ইম্পিচমেন্ট প্রস্তাবের জন্য যথেষ্ট স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে। তবে এখনও তা জমা দেওয়া হয়নি।”
পাশাপাশি, “দ্য এডিশন ডট এমভি”-র খবর অনুযায়ী, সোমবার অনুষ্ঠিত এমডিপির সংসদীয় গ্রুপের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে ইম্পিচমেন্ট প্রস্তাব পেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মালদ্বীপের বর্তমান রাষ্ট্রপতি ৪৫ বছর বয়সী মুইজ্জু গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা বিদায়ী রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহকে পরাজিত করেছিলেন।
সংসদে চলল সংঘর্ষ: উল্লেখ্য যে, চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর মন্ত্রিসভায় চার সদস্যের অনুমোদন নিয়ে মতপার্থক্যকে কেন্দ্র করে মালদ্বীপের পার্লামেন্টে সরকারপন্থী সাংসদ ও বিরোধী দলের সাংসদদের মধ্যে রীতিমতো সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রধান বিরোধী দল “মালদ্বীপিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি” (এমডিপি) মন্ত্রিসভায় মত দেওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার চার সদস্যের সংসদীয় অনুমোদন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর সরকারের সমর্থনকারী সাংসদরা বিক্ষোভ শুরু করলে সংসদের সভার কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
আরও পড়ুন: ঘাতক এবং নির্ভুল! এবার তৈরি হবে ‘Made In India Rafale’, করা হবে গোটা বিশ্বে রফতানি, নয়া চমক ভারতের
খবরে বলা হয়, সংঘর্ষ চলাকালে কান্দিথিমুর সাংসদ আবদুল্লাহ শাহীম আব্দুল হাকিম শাহীম ও কেন্দিকুলহুধুর সাংসদ আহমেদ ঈসার মধ্যে হাতাহাতি হয়। ধস্তাধস্তির সময়ে তাঁরা দু’জনেই সাংসদ চেম্বারের কাছে পড়ে যান। যার জেরে শাহীম মাথায় আঘাত পান। এদিকে, সংখ্যালঘু নেতা মুসা সিরাজ বিরোধ থামানোর চেষ্টা করেন। খবরে বলা হয়েছে, শাহীমকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে সাংসদদের স্পিকারের চেয়ারের কাছে জড়ো হতে এবং হাতাহাতি করতে দেখা যায়।