Ekchokho.com 🇮🇳

স্ত্রী-মেয়েকে মাসে ৪ লক্ষ! মাঠের বাইরে দুর্ভাগ্যের ইনিংস সামির

Published on:

Published on:

Calcutta High Court mohammed shami

বাংলা হান্ট ডেস্ক : স্ত্রী ও নাবালিকা মেয়ের ভরণপোষণের খরচ হিসেবে মোহাম্মদ সামিকে (Mohammed Shami) প্রতি মাসে দিতে হবে ৪ লক্ষ টাকা, এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। স্ত্রীকে দিতে হবে ১.৫ লক্ষ এবং মেয়েকে ২.৫ লক্ষ টাকা করে—এই রায় দিয়েছেন বিচারপতি ডঃ অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়। সামির বিরুদ্ধে গৃহহিংসার অভিযোগে মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এই ভরণপোষণের আবেদন করেন তাঁর স্ত্রী। প্রথমে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট সামিকে ৮০ হাজার টাকা দিতে বললেও, পরে সেশন কোর্ট সেটা বাড়িয়ে ১.৩ লক্ষ টাকা করে। কিন্তু স্ত্রী সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যান।

আদালতের মন্তব্য, সামির আয়ের পরিমাণ যা, তাতে এত কম টাকা ভরণপোষণ হিসেবে দেওয়াটা অন্যায্য। বিচারপতির ভাষায়, “যে জীবনযাপন স্ত্রী বিবাহিত অবস্থায় করতেন, বিচ্ছেদের পরও তা বজায় রাখা তাঁর অধিকার। মেয়ের ভবিষ্যৎও সুরক্ষিত রাখতে হবে।” আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, যতদিন না মূল মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন এই চার লক্ষ টাকা সামিকে দিতে হবে প্রতি মাসে। যদি সামি ইচ্ছা করেন, মেয়ের পড়াশোনার জন্য আলাদা করে আরও খরচ দিতে পারেন, সেটাও আদালত জানায়।

দুই পক্ষের আইনি লড়াই

এই মামলায় সামির পক্ষে ছিলেন নামী আইনজীবী সন্দীপন গাঙ্গুলি ও সোমপ্রিয়া চৌধুরী। অপরদিকে, স্ত্রী’র হয়ে সওয়াল করেন ইমতিয়াজ আহমেদ, গজালা ফিরদৌস সহ একাধিক কৌঁসুলি। আদালতের এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ এখন কার্যকর। পাশাপাশি বিচারপতি বলেছেন, গৃহহিংসা সংক্রান্ত মূল মামলার নিষ্পত্তিও যেন দ্রুত করা হয়।

২০১৪ সালে বিয়ে করেছিলেন সামি ও তাঁর স্ত্রী। ২০১৫ সালে তাঁদের কন্যাসন্তান জন্মায়। তবে এরপর থেকেই দু’জনের সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ে। ২০১৮-তে স্ত্রী সামির বিরুদ্ধে গৃহহিংসার অভিযোগ এনে FIR দায়ের করেন। তারপর থেকেই আইনি টানাপোড়েন চলছে। ক্রিকেট মাঠে সামির হাত ধরে এসেছে অনেক জয়, কিন্তু মাঠের বাইরের এই ব্যক্তিগত মামলা এখন যেন কঠিনতম টেস্ট ম্যাচে তাঁকে ফেলে দিয়েছে। এখন দেখার, মূল মামলার শুনানিতে কী সিদ্ধান্ত আসে।

আরও পড়ুন : শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে…’, বন্ধ ঘরে চড়াও হন মনোজিৎ! TMCP নেতার আরও ‘কীর্তি’ ফাঁস কলেজেরই আরেক ছাত্রীর

সামির এই আইনি ঝামেলা নিয়ে এখন গোটা ক্রীড়ামহলেও শুরু হয়েছে চর্চা। কারণ আইনের চোখে কেউই তারকা নয়—সবার আগে মানুষ, সবার আগে দায়িত্ব।