বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে চলা পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার জয়ের সবথেকে বড় নায়ক হলেন মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj)। যিনি তাঁর উৎসাহ, আবেগ এবং লড়াকু মনোভাব দিয়ে প্রতিপক্ষকেও মুগ্ধ করেছেন। শুভমান গিলের ভাষায়, সিরাজ যেকোনও অধিনায়কের স্বপ্নের বোলার।ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস এবং কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামও তাঁর ভক্ত হয়ে উঠেছেন।
ওভাল টেস্টে জয়ের নায়ক সিরাজ (Mohammed Siraj):
এই টেস্ট সিরিজের ৫ টি ম্যাচে ১৮৫ ওভারেরও বেশি বল করেছেন সিরাজ (Mohammed Siraj)। তবুও, যেন তাঁর কোনও ক্লান্তি নেই। বরং চিরচেনা হাসিকে সঙ্গে নিয়েই প্রতিটি বলেই তিনি তাঁর সর্বশক্তি প্রয়োগ করেন। এই সিরিজে সর্বোচ্চ ২৩ টি উইকেটও পেয়েছেন তিনি। তবে, আজ সিরাজ যেখানে পৌঁছেছেন, তার সবই তাঁর দৃঢ় সংকল্প এবং আবেগের কারণে। সিরাজের জেদ এতটাই ছিল যে বিরিয়ানির জন্য বিখ্যাত হায়দ্রাবাদের এই খেলোয়াড় তাঁর প্রিয় বিরিয়ানিও ক্রিকেটের জন্য ছেড়ে দেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল একটাই। সম্পূর্ণ ফিট থেকে তিনি যেন ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।
৬ বছর আগে ইংরেজি সংবাদপত্র টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক কথোপকথনে সিরাজ (Mohammed Siraj) প্রকাশ করেছিলেন যে, নিজেকে ফিট এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখার জন্য তিনি বিরিয়ানি খাওয়া সম্পূর্ণভাবে ছেড়ে দিয়েছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ২৫ বছর এবং বিরিয়ানি ছিল তাঁর প্রিয় খাবার।
আরও পড়ুন: বহু চেষ্টা করেও হল না লাভ! ভেস্তে গেল চিনের পরিকল্পনা, মাত্র ৭ মাসেই দুর্ধর্ষ রেকর্ড গড়ল ভারত
সিরাজ (Mohammed Siraj) তখনওই সংবাদপত্রকে বলেছিলেন, “আমি বিরিয়ানি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি…সত্যি বলতে, যদি তুমি তোমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চাও তাহলে তোমাকে কিছু জিনিস ত্যাগ করতে হবে। বিরাট ভাইয়ের ফিটনেস সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কিন্তু শামি ভাই যেভাবে ফিরে এসেছেন তা অসাধারণ। তিনি খুব দ্রুত স্লিম হয়ে গেছেন।”
আরও পড়ুন: “যারা সমালোচনা করছে তারাও রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায় জড়িত”, ট্রাম্পের হুমকির কড়া জবাব দিল ভারত
সিরাজের (Mohammed Siraj) বিশেষত্ব হল, যখন তিনি কিছু করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তিনি তা হাসিল করার জন্য সর্বস্ব উৎসর্গ করে। জসপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতিতে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টেস্টে তিনি তাঁর দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। চরম আত্মবিশ্বাসী থেকে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর এইভাবেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওভাল টেস্টে ভারতের ৬ রানের জয়ের নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন সিরাজ। পাশাপাশি, ভারত ওই সিরিজটি ২-২ সমতায় শেষ করে।