বাংলা হান্ট ডেস্ক: বরাবরই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কে নিয়ে সমালোচনার ঝড় থাকে তুঙ্গে। দিনের পর দিন বহু জায়গায় বহু ভাবে সমালোচিত হয়েছেন মহুয়া। কিন্তু বরাবরেই নিজের সমস্ত বক্তব্য জনসমক্ষে তুলে ধরেছেন তিনি। সম্প্রতি মহুয়া মৈত্রের দায়ের করা মানহানির মামলায় সেশন কোর্টের আদেশ বাতিল করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। একটি সর্বভারতী সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদকের করা আবেদনের ভিত্তিতে সেশন কোর্ট মহুয়ার করা মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। এদিন বিচারপতি ব্রিজেশ শেঠি মহুয়া মৈত্রের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেন।
কিন্তু উল্টোদিকে থেমে থাকেননি মহুয়া, তিনিও মানহানির মামলায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন সেশন কোর্টের আদেশের দিকে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ২৫ জুন তারিখে সংসদে বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সংবাদ পরিবেশন করেছিল। মহুয়া মৈত্র আবেদন করে বলেছিলেন মানহানির মামলায় কোনো রকমের নাক গলানো একেবারেই উচিত হয়নি সেশন কোর্টের। অন্যদিকে আবার এই মামলার বিচার চলাকালীন সাংবাদিকের আইনজীবী যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে এই আবেদন একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এর পাল্টা জবাব দিতে মহুয়ার আইনজীবী বলেছেন, সেশন কোর্টের উচিত হয়নি এই মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়া।
উল্লেখ্য নিজের অধিবেশন শুরু করার সময় থেকেই তুখর বক্তব্যের মাধ্যমে তথাপি নিজের প্রথম ভাষণ এর দ্বারা সংসদের সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। এমনকি বহু বিরোধী সাংসদ সর্বসমক্ষে না বললেও অনেকেই পেছনে পেছনে মক্তবের প্রশংসা জানিয়েছিলেন। মহুয়ার সেই ভাষণে উঠে এসেছিল আমেরিকার প্রাবন্ধিক মার্টিন লংম্যানের নাম। তাণর লেখা থেকেই উদ্ধৃত করেছিলেন মহুয়া। তাঁর বক্তব্য ছিল মোদী সরকার কীভাবে ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠেছে। নিজের ছলা কলা কৌশলে বরাবরই সংবাদমাধ্যমের এক প্রধান টার্গেট হয়ে থাকেন মহুয়া মৈত্র। এবারের ঘটনাতেও সেই পরিস্থিতিই বর্তমান।