বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে মোহনবাগান ক্লাবে (Mohun Bagan Athletic Club) চলছে নির্বাচনের আবহ। খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের দিনও। ঠিক তার আগেই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন টুটু বসু। একটি চিঠি দিয়ে মোহনবাগান ক্লাবের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। এমতাবস্থায়, দীর্ঘদিন ধরে মোহনবাগানের সাথে যুক্ত থাকা টুটু বসুর এহেন সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে গিয়েছেন ক্লাবের সদস্যরাও।
মোহনবাগান ক্লাবের (Mohun Bagan Athletic Club) সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন টুটু বসু:
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মোহনবাগানে (Mohun Bagan Athletic Club) নির্বাচনের আবহে লড়াইয়ের জন্য তৈরি হচ্ছেন সৃঞ্জয় বসু। ইতিমধ্যেই ক্লাবের বর্তমান বোর্ডের বিরুদ্ধে তিনি একাধিকবার সরব হয়েছেন। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এবার মোহনবাগান নির্বাচন নিয়ে কার্যত দু’ভাগে ভাগ হয়েছে বসু পরিবার।
একদিকে বিরোধী শিবিরের মুখ হয়েছেন টুটু বসুর বড় ছেলে সৃঞ্জয় বসু। অপরদিকে, শাসক শিবিরে রয়েছেন সৃঞ্জয় বসুর ভাই তথা টুটু বসুর ছোট ছেলে সৌমিক বসু। এই আবহে, টুটু বসুর পদত্যাগের এই সিদ্ধান্ত সকলের কাছেই রীতিমতো অনভিপ্রেত ছিল। সোমবার একটি চিঠিতে টুটু বসু তাঁর পদত্যাগের কারণও উপস্থাপিত করেছেন।
আরও পড়ুন: “ভারত ভুল করলেই আমরা প্রতিশোধ নেব”, একী বলে ফেললেন পাকিস্তানের মন্ত্রী? শুরু হইচই
টুটু জানিয়েছেন, যেহেতু তিনি সভাপতি তাই চেয়ারে বসে এক পক্ষের হয়ে প্রচার করাটা তার পক্ষে ঠিক হবে না। কারণ সেটা করলে চেয়ারের অপব্যবহার হবে বলেও মনে করেছেন তিনি। টুটু বসু চিঠির শেষভাগে বলেন, “ক্লাবের (Mohun Bagan Athletic Club) নির্বাচন যেহেতু দোরগোড়ায়, তাই সদস্যদের উদ্দেশে আমারও কিছু বলা দরকার। কারণ, কোন কমিটি আসবে, তাতে থাকবেন কারা, তা ঠিক করবেন সদস্যরা। কিন্তু সভাপতির চেয়ারে বসে থেকে সেই কাজ আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। আসলে সভাপতির চেয়ার থেকে কোনও এক পক্ষের প্রচার করা উচিত নয়।”
তিনি আরও বলেন, “চেয়ার কিংবা পদের অপব্যবহার করে কখনও কিছু আমি করিনি, এবারও করব না। তাই ঠিক করেছি, মোহনবাগান ক্লাবের (Mohun Bagan Athletic Club) সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেব আমি। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, দয়া করে এই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করবেন। যাতে আমার মন যা বলছে, তা নির্দ্বিধায় আমি আমার প্রিয় সদস্যদের বলতে পারি।”