বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অর্পিতা-হৈমন্তীর পর বাংলার নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) উঠে এসেছে আরেক রহস্যময়ীর নারীর নাম। দুদিন থেকে সেই রমণী সোমাকে নিয়েই নতুন করে ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। ইডি সূত্রের খবর ছিল, টেট দুর্নীতি কাণ্ডে হুগলীর ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের নথিপত্র ঘেঁটে এই সোমা চক্রবর্তীর (Soma Chakraborty) খোঁজ মিলেছে। অভিযোগ, ২০২০ সালে এই সোমাকেই লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)।
অন্যদিকে, ইডির কাছে সোমার দাবি, ‘ঋণ’ বাবদ কয়েক ধাপে তাকে কিছু টাকা দিয়েছেন কুন্তল ঘোষ। তবে সোমার এই দাবি একেবারেই মানতে নারাজ তদন্তকারী আধিকারিকরা। উল্টো ইডির দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সোমার কাছ থেকে অ্যাকাউন্ট বদল করে করে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে অন্যান্য প্রভাবশালীদের কাছে।
সংশ্লিষ্ট সংস্থা সূত্রেই খবর, সোমাদেবীর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গেছে এখনও পর্যন্ত এইরকম চার পাঁচটি অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। তাই সোমার ঋণের যুক্তি মানতে নারাজ গোয়েন্দা সংস্থা। তবে সোমার মুখ থেকে এখনও পর্যন্ত এই লেনদেন নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলেই জানা গিয়েছে।
শুধু বিপুল লেনদেনই নয়, ইডি সূত্রে খবর সোমার মাধ্যমে বেশ কয়েক জন চাকরি প্রার্থীর সুপারিশও পৌঁছায় অভিযুক্ত কুন্তলের কাছে। সেই বিষয়েও তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। আধিকারিকদের দাবি, কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬.৫ কোটি টাকা এসেছিল কিন্তু তারপরই সেই টাকা বেরিয়ে গিয়েছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে।
এই বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়েই লেনদেনের সূত্র ধরে সোমার খোঁজ মেলে। তবে সোমার অ্যাকাউন্ট থেকেও অন্যত্র স্থানান্তরিত হয় টাকা। ইডির দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল পরিমান আর্থিক লেনদেন করা হয়েছে ভাড়া করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে। পাশাপাশি ইডির দাবি রাজ্যজুড়ে বহু এজেন্টদের মাধ্যমেও টাকা ঢুকেছে কুন্তলের পকেটে।