বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই সর্বসমক্ষে জানিয়েছিলেন স্বামী মনোজিৎ মণ্ডল (monojit mondal) অন্য মহিলার প্রতি আকৃষ্ট, তাই তাঁকে ডিভোর্স দিতে চান বৈশাখী ব্যানার্জী (Baisakhi Banerjee)। কিন্তু অন্যদিকে কখনও বাড়ির ব্যালকনিতে রবীন্দ্র সঙ্গীতে নাচ, আবার কখনও শাম্মি কাপুরের হিন্দি সিনেমার গানে নাচ। আবার ঘোড়ার গাড়ি করে ভিক্টোরিয়ায় গিয়ে উত্তম কুমারের কালজয়ী গান। সবেতেই সবার নজর কেড়েছিল শোভন-বৈশাখী জুটি।
তবে এবার সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল বিদায় কালে মায়ের সিঁদুর খেলার অনুষ্ঠান। কোনও রাগঢাক না করেই দশমীর দিন মাকে বিদায় দেওয়ার মুহূর্তে বান্ধবী বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে প্রথা অনুযায়ী বিয়েটাও সেরে ফেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chattopadhyay)। আর এই ছবি রীতিমত দাবানলের গতিতে ভাইরালও হয়ে গেল স্যোশাল মিডিয়ায়।
এই দেখে চারিদিকে হইচই পড়ে যায় শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে। বৈশাখী বলেন, ‘শোভন আমার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিল। কোনদিনই আমাদের স্বীকৃতির অভাব ছিল না’।
কিন্তু এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শোভন-বৈশাখীকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি রত্না পুত্র ঋষি। তিনি বলেন, ‘দশমীর দিনে সিঁদুর খেলা হবে, সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, একজন বিবাহিত মানুষ অন্য একজন বিবাহিত মহিলাকে কীভাবে সিঁদুর পরান? দুজনের কারওই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি, তাহলে এটা কীভাবে করল তাঁরা?’
ঋষি আরও বলেন, ‘শোভন চট্টোপাধ্যায় এই কাজ করে সরাসরি ধর্মের অবমাননা করেছেন। তিনি দুর্গা পুজোয় নিজের স্ত্রীকে অপমান করে অন্যের স্ত্রীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়েছেন। ইসলাম ধর্মেও এই রীতি নেই। সেখানেও দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাইলে প্রথম জনের সঙ্গে বিচ্ছেদ করতে হয়। কিন্তু উনিতো এখানে সরাসরি বেলেল্লাপনা করছেন’।
অন্যদিকে এই বিষয়ে বৈশাখীর আইনত স্বামী মনোজিৎ মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এবিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই। আর আমার এটাই প্রতিক্রিয়া’।