এবার পুজোয় ভাসতে চলেছে বাংলা? ৯৮ দিন আগেই যা জানাল আবহাওয়া দফতর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোতে কি ভাসতে চলেছে বাংলা? বঙ্গে বর্ষার প্রভাব যে মারাত্মক হতে চলেছে, সে বিষয়ে আগেই মতপ্রকাশ করেছিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আর এবার এর প্রভাব পুজোর সময়ও চলবে বলে সম্ভাবনা প্রকাশ করা হয়েছে। এই খবরে ইতিমধ্যেই মাথায় হাত পড়েছে অনেকের। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বর্ষার প্রভাব কেন অধিক হতে চলেছে, সে বিষয়ে কি জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর?

এবছর সময়ের পূর্বেই দেশের বেশ কিছু প্রান্তে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আসার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী একাধিক রাজ্যে এসে পৌঁছায় বর্ষা। একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গেও বর্ষার প্রভাবে বিগত তিন সপ্তাহ ধরে প্রবল থেকে প্রবলতর বৃষ্টিপাতের সাক্ষী থাকে মানুষ। দক্ষিণবঙ্গে অবশ্য বেশ কিছুটা দেরিতে পৌঁছেছে বর্ষা। ইতিমধ্যেই এর প্রভাবে শহর কলকাতা সহ অন্যান্য একাধিক প্রান্তে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে আর এর স্থায়িত্ব নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের মতে, জুলাই মাস থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অধিক হতে চলেছে। এক্ষেত্রে অতিবৃষ্টির সাক্ষী থাকবে মানুষ আর সেই কারণেই মনে করা হচ্ছে, সম্ভবত এবছর পূজোতেও ভাসতে চলেছে বাংলা! জানা গিয়েছে, যে সময় বাংলায় বর্ষার অধিক প্রভাব থাকার কথা, উক্ত সময়ে এবছর বঙ্গোপসাগরে অধিক পরিমাণে জলীয় বাষ্প তৈরি হতে চলেছে। সেই কারণে জুলাই মাস থেকে যে দিনগুলিতে 50 মিলিমিটারের কাছাকাছি বৃষ্টি হওয়ার কথা রয়েছে, সেখানেই বঙ্গোপসাগরের বুকে সৃষ্ট অধিক জলীয় বাষ্পের কারণে সেই পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে 100 মিলিমিটারের কাছাকাছি।

todays Weather report 22 nd november of west Bengal

ইতিমধ্যে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাস ধরে অতিবৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে জুন মাসের গোড়া থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত। তবে সেই দুর্যোগ পরবর্তীকালে আরো বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দক্ষিণবঙ্গে সবেমাত্র বর্ষা এসে পৌঁছালেও এর প্রভাবে আগামী দিনগুলিতে প্রায় 70% অতিবৃষ্টির সর্তকতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। তাদের মতে, বর্ষার অধিক প্রভাব পড়তে চলেছে হাওড়া গ্রামীণ, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ 24 পরগনার একাধিক এলাকায়। এই সকল স্থানগুলিকে ইতিমধ্যে সতর্কও করা হয়েছে।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর