পেটের টানে গুজরাটে যাওয়াই হল কাল, ব্রিজ ভেঙে মৃত্যু বাঙালি যুবকের! শোকের ছায়া পরিবারে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিম্নবিত্ত পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য যদি ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে তবে সেই দুঃখ যেন প্রাণ কেড়ে নেয় সেই পরিবারের বাকি জীবিত সদস্যদেরও। প্রতিটি মৃত্যুই দুঃখজনক তবে অকাল প্রয়াণ যেন আরোও বেদনাদায়ক। তাই গুজরাটে বাঙালি সন্তানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সারা বাংলায়।

জানা গিয়েছে, বর্ধমানের পূর্বস্থলির ২ নম্বর ব্লকের মুশকিম পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত কেশব বাটি অঞ্চলের নিবাসী ছিলেন হাবিবুল শেখ। পরিবারের সকলের মুখ চেয়ে সংসারের স্বার্থে নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে সুদূর গুজরাটে কাজ করতে গেছিলেন তিনি । মাত্র ১০ মাস আগে রোজগার করতে যাওয়া ছেলের মৃতদেহ আসবে বাড়িতে স্বপ্নেও ভাবতেও পারেনি তার পরিবার।

১০ মাস আগে গুজরাটে সোনা রূপার কারিগর হিসাবে চাকরি পেয়ে সেখানে যায় হাবিবুল। ছুটি পাওয়া যায় না, তাই একদিন কোনো কারণে ছুটি পেলে একটু ঘুরতে যেতে সবারই মন চায়। সেই মতোই ছট পূজা উপলক্ষে পাওয়া ছুটির দিন ভালো করে করতে গুজরাটের সদ্য খোলা মোরবির ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে গেছিলেন হাবিবুল। তার সেই যাওয়াই হল কাল। রবিবার, ছট পূজার দিন হঠাতই প্রায় ৪০০ জন মানুষ সহ সেই ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ে মাছু নদীতে। সেই ৪০০ জনের মধ্যে ১০০ জন এর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। তাদেরই একজন ছিলেন হাবিবুল।

jpg 20221031 115329 0000

রবিবার টিভিতে এই খবর দেখেই আঁতকে উঠে ছিল হাবিবুলের পরিবার। বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু কোনো খোঁজ মিলছিল না তার। গুজরাটে হাবিবুল থাকত তার কাকার কাছে। কাকাও সেখানেই কর্মরত আছেন। পরে কাকাও খোঁজ করেন। কিন্তু তখনও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তারপর রবিবার গভীর রাতে হাবিবুল এর মৃতদেহ উদ্ধার করেন উদ্ধারকারী দল। সূত্রের খবর হাবিবুলের দেহ মোরবি থেকে আনা হচ্ছে আহমেদাবাদে। সেখান থেকে তাকে বিমানে করে আনা হবে কলকাতা। তারপর কলকাতা থেকে বর্ধমানে মায়ের কাছে ফিরবে মৃত পুত্রের দেহ।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর