৮ হাজারের গন্ডি ছাড়াল তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা! জারি ৩ মাসের আপৎকালীন অবস্থা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভয়াবহ অবস্থা তুরস্ক (Turkey) এবং সিরিয়ার (Syria)। ভয়ংকর ভূমিকম্পের (Turkey Syria Earthquake) আঘাতে বিগত একশো বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক বিপর্যয় হয়ে উঠতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইতিমধ্যেই দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার পেরিয়ে গেছে৷

ওভগান আহমেত এরকান নামে এক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ইকোনমিস্ট’-কে জানান, এখনও ধ্বংস্তূপের নীচে ১ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষের চাপা পড়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে৷ অধিকাংশেরই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই৷ হতাহতের সংখ্যা কোথায় পৌঁছতে পারে, তা ভাবলেও কাঁপুনি ধরছে গোটা বিশ্বের৷

তুরস্কে উদ্ধারকাজের এখনও অনেকটাই বাকি রয়েছে৷ রাস্তার উপরেই পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। মৃতদেহ সরানোর থেকেও বেশি জোর দেওয়া হয়েছে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কেউ বেঁচে আছেন কি না, তা খুঁজে দেখা। তুরস্কে বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে৷ কিন্তু ভয়ংকর অবস্থা যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার৷ সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলিতে উদ্ধারকাজ শুরু হলেও বিদ্রোহীদের হাতে থাকা সিরিয়ার ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকাগুলির সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন৷ সেখানে মৃত, আহতের সংখ্যা কত, কত মানুষ এখনও নিখোঁজ, উদ্ধারকাজই বা কীভাবে চলছে, তা জানেন না কেউই।

সাংবাদিক হিউমেরা পামুক ড্রোন থেকে তোলা ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কের হাতায় শহরের একটি ভিডিও টুইটারে পোস্ট করে লেখেন, ‘শতাব্দীর সবথেকে ভয়াবহ বিপর্যয়ে সাড়ে চারশো কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রায় ১.৩০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত৷’ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত৷ প্রায় ৬ টন ত্রাণ সামগ্রী ভর্তি তিনটি ট্রাক ভারতের পক্ষ থেকে সিরিয়ায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে৷ এর মধ্যে রয়েছে ওষুধ, সিরিঞ্জ, ইসিজি, এক্স রে মেশিনের মতো আহতদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব সাজ সরঞ্জাম৷

তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা আফতাদ সূত্রে খবর, তাদের কাছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর এসেছে৷ এই সংস্থাই প্রায় ৮ হাজার মানুষকে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে উদ্ধার করেছে৷ তুরস্কের এই বিপর্যয়ে দেশের প্রায় চার লক্ষ মানুষ এই মুহূর্তে বিভিন্ন সরকারি শিবির এবং হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।