বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রথমে ‘বাঘিনী’, আর এবার ‘সুকন্যা’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জীবনকাহিনি অবলম্বনে ফের ছবি হচ্ছে বড়পর্দায়। এবার কন্যাশ্রী প্রকল্পকে আশ্রয় করেই বোনা হচ্ছে সুকন্যা ছবির গল্প। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদলে তৈরি মায়া চট্টোপাধ্যায় চরিত্রে অভিনয় করছেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Koneenica Banerjee)। ছবিতে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।
দ্য ওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কনীনিকা জানান, বাঘিনী ছবিটিতেও মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রস্তাব তাঁর কাছেই এসেছিল। কিন্তু সে সময় সেটা তাঁর করে ওঠা হয়নি। তাই এবারে সুকন্যা ছবির প্রস্তাব পেয়ে আর না করেননি কনীনিকা। অভিনেত্রী নিজে ভবানীপুরের মেয়ে। ছোট থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শের সঙ্গে পরিচিত তিনি। তাঁর স্পষটবাদিতা মুগ্ধ করে, মন্তব্য কনীনিকার।
তবে নিজেকে দিদির ঘনিষ্ঠ বলতে নারাজ তিনি। অভিনেত্রী স্পষ্ট বলেন, তিনি শিল্পী। কোনো রাজনৈতিক দলের রঙ তাঁর গায়ে নেই। রাজনীতিতে আসারও ইচ্ছা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিত্ব তাঁর ভাল লাগে। তাই চরিত্রটিতে সেই ছাপটা রাখার চেষ্টা করছেন তিনি।
ভাইরাল ছবিগুলিতে নীল সাদা ছিমছাম শাড়ি, পায়ে হাওয়াই চপ্পল আর মাথায় খোঁপা নিয়ে কনীনিকাকে দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই মনে পড়তে বাধ্য। তবে অভিনেত্রী স্পষ্ট জানান, এটা মুখ্যমন্ত্রীর বায়োপিক নয়। কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাহায্যে এক মেয়ে কীভাবে আইপিএস অফিসার হয়ে ওঠে সেই গল্পই উঠে আসবে ছবিতে।
কনীনিকা বলেন, চরিত্রটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদল রয়েছে। কিন্তু তাঁর মুখের কথা সংলাপে লেখা হয়নি। কনীনিকা নিজেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো করে সংলাপ বলার চেষ্টা করছেন না। তাঁর মতে, সেটা অনেকে পছন্দও করবে না হয়তো। ছবির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন উজ্জ্বল মিত্র। ছবিতে পুলিসের ডিজির চরিত্রে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।