বাংলা হান্ট ডেস্ক : জল্পনা সত্যি করে অবশেষে ইস্তফা দিয়েই দিলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। ভোটের মুখে অভিনেত্রী জানিয়ে দিলেন, ইতিমধ্যেই তিনি ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দরবারে। রাজনীতি তার জন্য নয়, তাই রাজনীতি থেকে পত্রপাঠ বিদায় নিতে চান। একই সাথে এটাও জানিয়ে দিলেন, যে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এত হই হই সেই নির্বাচনে আর প্রার্থীও হতে চান না তিনি।
দিন কয়েক আগেই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মিমির অপর এক সতীর্থ দেব। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইঙ্গিত মিললেও শেষ অবধি দিদির অনুরোধে দলে থেকে গেছেন। তবে মিমির ক্ষেত্রে সেসব কিছুই খাটলনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে একান্ত বৈঠকেও গলল না বরফ।
বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শোনা যাচ্ছিল, শীঘ্রই ইস্তফা দিতে পারেন মিমি চক্রবর্তী। গত তিন দিনে একাধিক পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। প্রথমে নিজের এলাকার দুটি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর মঙ্গলবার সংসদের দুটি পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন নায়িকা সাংসদ। তার মত বদলানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক ডাকা হলেও মিনিট পনেরোর মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সেই বৈঠক।
এবং বৈঠক শেষে মিমি বলেন, ‘রাজনীতি আমার জন্য নয়। এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি নিজের দল তো ছেড়েই দিন অন্য দলকে নিয়েও কখনও খারাপ কথা বলিনি। তাহলে আমাকে কেন এত খারাপ কথা শুনতে হবে? আমি দিল্লিতে থাকলে বলা হয় সাংসদ তো দিল্লিতেই থাকেন। আবার কলকাতায় থাকলে বলা হবে আমি তো দিল্লিতেই যাই না। তাহলে সাংসদ করে লাভ কি হলো।’
এরপরেই দলের প্রতি ক্ষুব্ধ মিমি বলেন, ‘আমি দুদিন আগে আমার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। দিদির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু উনি এখনও সেটা গ্রহণ করেননি। আমার যে অভিযোগ ছিল, সেটা আমি দিদিকে জানিয়েছি। দেখি উনি কি পদক্ষেপ করেন। কাদের কাছ থেকে বাধা পেয়েছি, সেটা আমার দলের সুপ্রিমোকে জানিয়েছি। যে দল আমাকে প্রার্থী করেছে তাই আমি দলের সুপ্রিমোকেই আগে জানিয়েছি। উনি অ্যাকসেপ্ট করলে আমি লোকসভার স্পিকারকে পাঠিয়ে দেবো।’