বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সায়নীর (Saayoni Ghosh) ‘সমালোচনা’ মন্তব্যে এবার পাল্টা কড়া ভাষায় জবাব দিলেন তৃণমূলের ডাক্তার সাংসদ শান্তনু সেন (MP Santanu Sen)। গত শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সায়নী ঘোষ বলেন, “দলের একটা এমন সময় চলছে যেখানে আত্মবিশ্লেষণ বা আত্মসমালোচনা করা প্রয়োজন। তার শুরুটা আমি নিজেকে দিয়ে করেছি।” নিজের মন্তব্যে গোটা তৃণমূলের (Trinamool Congress) ক্ষেত্রে যে একটা সংস্কারের সময় এসেছে তার আভাস দিয়েছিলেন তৃণমূল যুব সভানেত্রী। সায়নীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এবার পাল্টা মন্তব্য করলেন শান্তনু সেন।
গতকাল সংবাদমাধ্যমের সামনে শান্তনু সেন বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের একটা বৈচিত্র হচ্ছে, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, সেটা বুথস্তরের কর্মী থেকে নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ সবাই মেনে চলে। উনি যেটা বলেন সেটাই আমাদের দলের শেষ কথা। তার উপরে আর কারও কোনও কথা থাকতে পারে না।” নিজের কথায় সায়নী ঘোষের মন্তব্যকে যে তিনি একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ সেটাই বোঝালেন নেতা।
সূত্রের খবর, সায়নীর মন্তব্যের পরই জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরমহলে। যুব নেত্রীর কথায় দলের আন্মসমালোচনার প্রয়োজনের দিকটি উঠে আসলেও তার মন্তব্যে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সাংসদ শান্তনু সেনও নিজের মন্তব্যে সেই ইঙ্গিতই দিলেন। যুব নেত্রীর মন্তব্য যে সমর্থন করছেনা শান্তনু তা বোঝা গিয়েছে নেতার কথা থেকেই।
প্রসঙ্গত, কালীঘাটে তৃণমূলের বৈঠকে অন্য সকল নেতা-নেত্রীর মতো উপস্থিত ছিলেন সায়নীও। জানা জায়গা বৈঠকে মমতার ক্ষোভের মুখেও পড়েন সায়নী। এরপর শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমাও চান যুবনেত্রী। তিনি বলেন, “আমি সংগঠন মজবুত করতে পারিনি। যে সময়টা দেওয়া উচিত ছিল, সেটা দিতে পারিনি। আগামীদিনে সময় দেব।”
তবে এর পরদিনই দল নিয়ে আন্মসমালোচনার মন্তব্য করেন সায়নী। বলেন, “আমি নিজেকে দিয়ে আত্মবিশ্লেষণের শুরু করলাম। নিজেকে নিয়ে অনেক ভেবেছি। আমার দিক থেকে আর কী কী করা যায়, কী কী করা যায়নি এবং আগামীদিনে আমি আর কী কী করব। দলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যুব সংগঠনের প্রতি আমি দায়বদ্ধ। সেখানে যদি মনে করে থাকি আমার নিজের কোনও খামতি রয়েছে। তা বলতে কোনও দ্বিধাবোধ থাকা উচিত নয়।” পাশাপাশি তিনি এও বলেন, “ক্ষমা চাইতেও কোনওরকম লজ্জা নেই।”