লাগবেনা বিদ্যুৎ, খরচ হবে এক টাকাও! শুধু মাত্র জলের সাহায্যেই ঘর ঠান্ডা করবে এই AC

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে গ্রীষ্মের মরসুম শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে AC-র ব্যবহারও। এমতাবস্থায়, অনেকেই চান নিজের বাড়িতে AC লাগিয়ে গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে। কিন্তু, AC-র দাম এবং বিদ্যুৎ বিলের কথা ভেবে এই ভাবনা থেকে পিছিয়ে আসেন অনেকেই।

সাধারণত আমরা উইন্ডো বা স্প্লিট AC-র ব্যবহারই এতদিন দেখে এসেছি। কিন্তু, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের এমন একটি AC-র প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যেটি সম্পর্কে জানার পর অবাক হয়ে যাবেন সবাই। কারণ, এই AC তৈরি হয় মাটির মাধ্যমে! হ্যাঁ, শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও এটাই সত্যি। মূলত, প্রাচীন পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়েই তৈরি করা যায় এই AC। যা খুব সহজেই ঠান্ডা করতে সক্ষম আপনার ঘর।

আমরা জানি যে, মাটির ঘর পাকা বাড়ির তুলনায় ঠান্ডা থাকে। শুধু তাই নয় মাটির পাত্রও জল ঠান্ডা রাখার কাজে ব্যবহার করি আমরা। তবে এখন মাটি থেকে ঠান্ডা বাতাসও পাওয়া যাবে। এমনকি, মাটি দিয়েই তৈরি করা যাবে AC-ও। যেগুলির সাহায্যে বাড়িতে গরমকালেও শীতল বাতাস উপভোগ করা যায় খুব সহজেই। এই অসাধ্য সাধন করেছেন দিল্লিতে বসবাসকারী আর্কিট্যাক্ট মনীশ।

এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, কাদার সাহায্যে বাতাসকে ঠান্ডা করতে চিরাচরিত কৌশল ব্যবহার করেছেন তিনি। মাটির সাহায্যে তৈরি এই ডিভাইসটি বর্তমান তাপমাত্রা থেকে প্রায় ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি কমিয়ে বাতাসকে ঠান্ডা করতে পারে।

মনীশ আরও জানিয়েছেন যে, তিনি এটি তৈরি করার ক্ষেত্রে ওয়াটার কুলিং প্রযুক্তিকে অন্যভাবে ব্যবহার করেছেন। এটিতে জল ঢালার পরে, এর মধ্য দিয়ে যা বাতাস যাবে তা প্রায় ৭ ডিগ্রি পর্যন্ত শীতল হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই প্রক্রিয়াটি প্রাকৃতিক উপায়ে বাতাসকে ঠান্ডা করে এবং পরিবেশের জন্যও উপকারী। আমরা জানি যে, সাধারণ AC ঘরকে ঠান্ডা করার পাশাপাশি পরিবেশকে দূষিত করে। কিন্তু এই মাটির AC পরিবেশের কোনো ক্ষতিসাধন করে না।

opt aboutcom coeus resources content migration treehugger images 2017 09 terracotta air cooler ant studio 4 a65684ae85a94b15ab223fe513f10ea1

মূলত, এতে প্রথমে পোড়ামাটির নল অর্থাৎ মাটির পাইপের ওপরে জল ঢেলে দেওয়া হয়। আপনি চাইলে মোটরের মাধ্যমেও জল ঢালার ব্যবস্থা করতে পারেন। এই জল টিউবের নীচে একটি বড় ট্যাঙ্কে সংরক্ষণ করা হয় এবং একই জল পুনরায় টিউবের ওপরে ঢালা হয়।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর