‘নিজের এলাকার মানুষের যেভাবে যত্ন নিয়েছে, তা প্রশংসা যোগ্য’, অভিষেকের গুণগান মুকুলের গলায়

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শোনা গিয়েছিল, একটা সময় তাঁর জন্যই নাকি দূরত্ব তৈরি হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুকুল রায়ের (mukul roy) মধ্যে। তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। আজ আবারও মুকুল রায় ফিরেছেন নিজের পুরনো ঘরে। আর তাঁরই মুখে এবার শোনা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (abhishek banerjee) গুণগান।

শুধু গুণগানই নয়, ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ নিয়ে রীতিমত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুকুল রায়। ট্যুইট করে করলেন অভিষেকের ভূয়সী প্রশংসা।

নবান্ন কর্তৃক করোনা আবহে রাজ্যের জন্য জারি করা হয়েছে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ। তবে সেই বিধিনিষেধের পক্ষে খুব একটা সহমত ছিল না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের- এমনটাই আগে জানা গিয়েছিল। তিনি চেয়েছিলেন এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার যাতে আরও কড়া হাতে রাশ টানে। প্রকাশ্যে করোনা বিধি নিয়ে কিছু মন্তব্য করেও, সেটা নিজের ব্যক্তিগত মতামত বলেই দাবি করেছিলেন অভিষেক।

এই পরিস্থিতিতে শনিবার ডায়মন্ড হারবারে জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে করোনা বিধি নিয়ে বেশকিছু নির্দেশিকা দেন অভিষেক। যেমন- বাজারে ক্রেতা বিক্রেতা দুজনকেই দুটো করে মাস্ক পরিহিত হতে হবে, বেশি সংখ্যায় কোভিড কন্ট্রোল রুম খোলা, ভ্রাম্যমান চিকিৎসকের বন্দোবস্ত করা ইত্যাদি। আর অভিষেকের এমনটা নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলে কি তাহলে এখন দুটো ক্ষমতা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে?

এই সময় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন মুকুল রায়। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘কঠোর বিধি নিষেধ প্রয়োগ থেকে শুরু করে কন্ট্রোল রুম চালু করা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে নিজের এলাকার মানুষের যত্ন নিয়েছে, তা দেখে ভীষণই ভালো লাগছে। মানুষের সুবিধা দেওয়ার জন্য তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার এই যে ক্ষমতা, তা অত্যন্ত প্রশংসার যোগ্য। হ্যাশট্যাগ ডায়মন্ড হারবার মডেল।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর