কেন কাল রাজ্য জুড়ে চললো CBI-র ম্যারাথন অভিযান? এবার আসল কারণ ফাঁস করলেন মমতা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। এরই মধ্যেই গতকাল ৫ খানেক টিম নিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে হানা দেয় সিবিআই (CBI)। বুধবার একজোটে রাজ্যের ১৪টি জায়গায় ম্যারাথন তল্লাশি চালায় সিবিআই এর দল। সল্টলেকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর, চুঁচুড়া, শান্তিপুর, ব্যারাকপুর, পানিহাটি, দক্ষিণ দমদম, কামারহাটি পুরসভা সহ রাজ্যের একাধিক পুরসভায় চলে এই অভিযান। এবার সিবিআই এর অতিসক্রিয়তা নিয়ে রেগে বোম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

বুধবার ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখান থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, “আমি ভেবেছিলাম বলবো না। কিন্তু পরিস্থিতি বাধ্য করেছে আমায়। এত বড় এক দুর্ঘটনা! কিভাবে ধামাচাপা দেওয়া যায় তার প্রচেষ্টা চলছে। যাদের পরিবার সব হারিয়েছে তারা এদের কাছে কৈফিয়ত চায় যে সত্য তথ্য বেরিয়ে আসুক।”

এরপরেই কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে মমতা বলেন, “সকাল থেকে সিবিআই কে পাঠিয়ে দিয়েছে দিল্লি। কলকাতার ১৪ টা থেকে ১৬ টা পুরসভায় ঢুকে গেছে। নগরোন্নয়ন দফতরে ঢুকে গেছে। বাথরুমেও ঢুকবে এখন? জিজ্ঞেস করুন। ওয়াস রুমেও ঢুকবে এখন? ”

মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ” এসব করে সত্যি চাপা দেওয়া যায় না। প্রত্যেক আত্মার আত্মীয়রা কাঁদছে। আত্মা কাঁদছে। মনে রাখবেন তাঁদের আপনজনদের শান্তি ফিরিয়ে দিতে হবে। মিথ্যে কথা বলে আগুনকে কখনও আগুন চাপা দেওয়া যায় না।”

প্রশ্ন ছুঁড়ে তিনি বলেন, “কেন দুর্ঘটনা টা হল? কেন এতজন মারা গেল? বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। সিবিআই কি করবে? ক্রিমিনাল কেস হলে তো সিবিআই করবে। পুলওয়ামা দেখেন নি? তখনকার রাজ্যপাল কি বলেছে! সব ধামাচাপা দেওয়ার জন্য। আসল দুর্ঘটনার তদন্ত হল না। সব সাফা হয়ে গেল।”

mamata banerjee we

ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদান নিয়েও মমতা বলেন, “আর টাকা দয়া করে দিচ্ছেন না। আমিও রেলমন্ত্রী ছিলাম। আমরা ১৫ লাখ করে দিতাম। আপনাদের দায়িত্ব এটা দেওয়া। আমরা বরং যা করছি সেটা এক্সট্রা। আমরা মানবিক। আমার একটাই দাবি শাস্তি হোক। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চূড়ান্ত শাস্তি হোক। “


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর