বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবাসরীও সকালে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একজোটে মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) ও তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra) বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই (CBI)। সাতসকাল থেকে চলছে তল্লাশি। শুধু এই দুজনারই নয় পাশাপাশি একাধিক পুর আধিকারিকদের বাড়িতেও চলছে টানা তল্লাশি।
একদিকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্না চালাচ্ছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই নিয়ে উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল। এই আবহেই শাসকদলের তাবড় নেতা-মন্ত্রীদের বাড়িতে সিবিআই হানায় ক্ষোভে ফুঁসছে তৃণমূল। অভিষেকের ধর্নার পাল্টা হিসাবেই সিবিআইকে ব্যবহার করছে বিজেপি। এই দাবিতেই সরব তৃণমূল (Trinamool Congress)।
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হানার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপির উপর চাপ বাড়ছে… তাই নজর ঘোরাতেই ফের রাজনৈতিক পরিকল্পনায় এজেন্সিকে নামানো হয়েছে।’’ তবে এ ভাবে তৃণমূলকে দমানো যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন কুণাল।
আরও পড়ুন: কেড়ে নেওয়া হল ফোন! আইনজীবিদেরও ঢুকতে বাধা, ফিরহাদের বাড়িতে ফুল অ্যাকশনে CBI
বিজেপিকে বিঁধে সমাজমাধ্যমে কুণাল লেখেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না হিট। বিজেপির উপর চাপ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে রাজ্যে আসতে হয়েছে, তাতেও ফল শূন্য। রাজ্যপাল কোণঠাসা, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।’’ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে বিজেপির “আত্মরক্ষার অস্ত্র” বলেও কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই ২,৩ তারিখ রাজ্যের ‘বকেয়ার’ দাবিতে দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচী করে তৃণমূল। তার নেতৃত্বে ছিলেন অভিষেক। ২ দিন দিল্লিতে পড়ে থাকলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা তৃণমূলের সঙ্গে দেখা করেননি। এর পরই কলকাতায় ফিরে এই বিষয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে রাজভবনের সামনে ধর্নার কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চলছে সেই ধর্না।
এই পরিস্থিতিতেই তৃণমূলের দাবি, অভিষেকের ধর্না থেকে নজর ঘোরাতেই এজেন্সিকে ব্যবহার করছে বিজেপি। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, তদন্তের মত তদন্ত চলছে। এখানে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই।