বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত শনিবার থেকেই মাদক কাণ্ডে তোলপাড় গোটা বলিউড। ইন্ডাস্ট্রির কিং খানের জ্যেষ্ঠ্য পুত্র আরিয়ান খান বামাল সমেত ধরা পড়েন ক্রুজ পার্টিতে। তবে এই কাণ্ডে আরিয়ানের পাশাপাশি আরো যে নামটি উঠে আসছে সেটি হল মুনমুন ধমেচা (munmun dhamecha)। মডেল মুনমুন আরিয়ানের বান্ধবী বলেই শোনা যাচ্ছে। তাঁর স্যানিটারি ন্যাপকিনের মধ্যে থেকে লুকনো মাদক খুঁজে পেয়েছে NCB।
পেশায় মডেল হলেও রূপে, লাস্যে বলিউড অভিনেত্রীদেরও হারা মানানোর ক্ষমতা আছে মুনমুনের। বয়সে তিনি আরিয়ানের থেকে অনেকটাই বড়। ৩৯ বছর বয়সী মুনমুনের বাড়ি আসলে মধ্যপ্রদেশে। গত বছরেই নিজের মাকে হারিয়েছেন তিনি। বাবা অনেকদিন আগে থেকেই আলাদা থাকেন। দিল্লিতে নিজের সঙ্গেই থাকেন মুনমুন।
কর্মসূত্রেই বলিউডের বহু তারকার সঙ্গে চেনা পরিচয় রয়েছে মুনমুনের। কিন্তু সেদিনের ওই বিলাসবহুল ক্রুজ পার্টিতে কীভাবে পৌঁছালেন তিনি? মুনমুনের আইনজীবী আলি আসিব খান সম্প্রতি মুখ খুলেছেন এই বিষয়ে। তাঁর দাবি, পারিশ্রমিকের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুনমুনকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই পার্টিতে। একজন মডেল থাকলে পার্টিটা আরো আকর্ষণীয় হবে সে কারণেই ডাকা হয়েছিল তাঁকে। বলরাম নামে একজন মুনমুনের টিকিট কেটে তাঁর ঘরও বুক করে রেখেছিলেন।
আইনজীবী আরো জানান, পার্টিতে যাওয়ার বিষয়টা নিজের দাদার থেকে লুকোননি মুনমুন। এমনকি তিনি নাকি আইনজীবীকে জানিয়েছেন, ক্রুজের প্রবেশের বাইরে মাদক নিষিদ্ধ বলেও লেখা ছিল। তল্লাশিও হয়েছিল তাঁর। কিন্তু NCB যখন ক্রুজ পার্টিতে হানা দেয় তখনি মুনমুনের কাছে পাওয়া যায় মাদক।
সে সময় তাঁর সঙ্গে বলরাম ছাড়াও আরো এক মহিলাও উপস্থিত ছিলেন। মুনমুন নাকি দাবি করেছেন, তাঁর নামে বুক করা ঘরের মেঝেতে পাওয়া গিয়েছিল মাদক। তাহলে বাকি দুজনকে না ধরে শুধু মুনমুনকে পাকড়াও করা হল কেন? প্রশ্ন আইনজীবীর। উপরন্তু তিনি এও দাবি করেছেন, আরিয়ানের বান্ধবী হওয়া তো , শাহরুখ পুত্রের সঙ্গে নাকি পরিচয়ই ছিল না মুনমুনের।