বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) পূর্বে রাজ্যে ক্রমশ্যই বাড়ছে বোমাতঙ্ক। এদিন বোমা বিস্ফোরণে আহত এক শিশু। ফের বোমার আঘাতে রক্তাক্ত শিশুর শৈশব। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালগোলায় থানার পাশে বড়জুমলা মিঞাপুরের একটি বাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। দুর্ঘটনায় জেরে আক্রান্ত মা ও বছর চারেকের এক শিশু।
সূত্রের খবর, সোমবার সকালে বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকা বোমা ঝাড়ু দেওয়ার সময় ফেটে যায়। যার জেরে আহত হন ওই মা এবং শিশু। সাতসকালে বাড়ির উঠোনে কে বা কারা সেগুলি রেখে গেল, অতগুলো বোমা মজুতই বা কিকরে হল? এই নিয়েই রহস্য দানা বেঁধেছে। অন্যদিকে, বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েই তৎক্ষণাৎ স্থানীয়রা বেরিয়ে এসে দেখেন বিস্ফোরণ হয়েছে পাশের মোতিবুল শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়ির উঠোনে। সেখানেই বোমা ফেটে আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মোতিবুলের স্ত্রী ও ক্ষুদ্র শিশু। এরপরেই তড়িঘড়ি তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে কারও আঘাতই গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে আহত মহিলা জানান , “আমি ঘর পরিষ্কার করতে যাই। সেই সময় হঠাৎই বোমা ফাটে। ড্রামের ভিতর বোমা মজুত করে রাখা ছিল। আর তারপর সেটা সরাতে গিয়েছিলাম। তখনই ফেটে যায়” ভোট পূর্বে লাগাতার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি মুখাপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন , “রাজ্যে জঙ্গলরাজ চলছে। বিহারের মতো পরিস্থিতি হচ্ছে এখানে। কখনও বীরভূম, কখনও মুর্শিদাবাদ, কখনও দক্ষিণ ২৪ পরগনা উত্তরবঙ্গেও এই ধরনের ঘটনা। গোটা সমাজ একটা বারুদের স্তুপের উপর বসে রয়েছে।”
পাশাপাশি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “গোটা রাজ্যের অবস্থা একই। গোলা বারুদ বোমা আর দুষ্কৃতীদের রাজত্ব এখানে। মুখ্যমন্ত্রী তো পুলিশ মন্ত্রী তাহলে বলাই যায় দুষ্কৃতীরা ওনার কথা শোনে না।” অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই বোমার নমুনা সংগ্রহ করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে বিস্ফোরিত বোমা ফেলে যাওয়া হয়েছিল নাকি সেখানে আগে থেকেউ মজুত ছিল সেই বিষয় এখনও স্পষ্ট নয়।