বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ পার! গত শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence)। কার্যত রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয় সামশেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ান সহ একাধিক এলাকায়। তবে আস্তে আস্তে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। এই আবহে তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে ধুলিয়ানে আয়োজিত একটি শান্তি বৈঠকে বিস্ফোরক দাবি করা হল।
শুক্রবার ধুলিয়ানে একটি শান্তি বৈঠকের আয়োজন করা হয় (Murshidabad Violence)
জানা যাচ্ছে, গতকালের বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্যবসায়ী, অনেকে উপস্থিত হয়েছিলেন। রিপোর্ট বলছে, সেই বৈঠকে ছিলেন জঙ্গিপুরের জোড়াফুল সাংসদ খলিলুর রহমান, রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম, সামশেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম এবং সাগরদিঘির তৃণমূল বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। সেখানেই পুলিশের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেন স্থানীয় মন্দির কমিটির ট্রাস্টি সদস্য ষষ্ঠীচরণ ঘোষ।
জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকে স্থানীয় মন্দির কমিটির ওই ট্রাস্টি সদস্য বলেন, ‘সামশেরগঞ্জ বাংলাদেশের খুব কাছেই অবস্থিত। এখানে জঙ্গি অথবা মৌলবাদীরা ছোট ছোট বাচ্চাদের ব্রেনওয়াশ করছে। সেই জন্য এখানে এই ধরণের হামলা হল। পুলিশ কী করেছে সবার জানা, সেই কারণে এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে থাকতে হবে’।
আরও পড়ুনঃ ‘২২ এপ্রিলই..’, রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA মামলা নিয়ে বড় তথ্য, ক্রমশ চাপ বাড়ছে রাজ্যের
এখানেই না থেমে ষষ্ঠীচরণ আরও বলেন, এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করার জন্য প্রশাসনের যাবতীয় ব্যবস্থা করা উচিত। তাঁর এহেন বক্তব্য নিয়ে শান্তি বৈঠকে চাপানউতোর শুরু হয় বলে খবর। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সামশেরগঞ্জের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক।
আমিরুল ইসলাম এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘গণতান্ত্রিকভাবে সকলেরই নিজের কথা বলার অধিকার রয়েছে। আমরা এখন এলাকার শান্তি ফেরানোর বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। বাকিটা প্রশাসন যা দেখার দেখবে’।
উল্লেখ্য, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যের নানান প্রান্তে প্রতিবাদ হচ্ছে। এই ঘিরেই গত শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence)। শনিবারই সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এই আবহে গতকালের শান্তি বৈঠকে সামশেরগঞ্জে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করার দাবি জানানো হল।