‘জ্ঞানবাপী তুলে দেওয়া হোক হিন্দুদের হাতে’, বিষ্ফোরক তথ্য সামনে আনলেন বাবরি খননকারী কে কে মহম্মদ

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (Archeological Survey Of India) বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা জানাচ্ছে, হিন্দু মন্দির (Hindu Mandir) ভেঙেই তৈরি হয়েছে বারাণসীর (Varanasi) জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Masjid)। এইদিন আদালতে একটি মুখবন্ধ খাম জমা দেয় ASI। ৮৩৯ পৃষ্ঠার এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, জ্ঞানবাপী মসজিদটি তৈরি হয়েছিল ১৭ শতকে মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেবের আমলে। এবং তাও এক বিশাল হিন্দু মন্দিরকে ধ্বংস করে। এবং এই যুক্তির স্বপক্ষে একাধিক প্রমাণও পেশ করেছে সংস্থাটি।

সমীক্ষা চলাকালীন এমন অনেক নিদর্শন পাওয়া গেছে যা থেকে এটা প্রমাণ হয় যে, এককালে এই মসজিদের নিচে হিন্দু মন্দির ছিল। প্রমাণ স্বরূপ মসজিদের ভিতরে দেবনাগরীতে হিন্দু দেব-দেবীর নাম সম্বলিত শিলালিপি পাওয়া গেছে। মসজিদের একটা অংশ তৈরিই হয়েছে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দিয়ে। বর্তমান মসজিদের বেসমেন্ট থেকে এমন একাধিক ভাস্কর্য মিলেছে যা প্রমাণ করে যে, এককালে এটি হিন্দু মন্দির ছিল।

হিন্দু পক্ষের দাবি, জ্ঞানবাপীর সিল করা ওজু খানায় একটি শিবলিঙ্গ রয়েছে। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, এখানে কোনও শিবলিঙ্গ নয়, এখানে রয়েছে একটি ফোয়ারা। তবে এই বিতর্কের নিস্পত্তি তখনই হবে যখন ওজুখানার সমীক্ষা শুরু হবে। আপাতত আদালতের নির্দেশে সিল করে দেওয়া হয়েছে মসজিদের ভূগর্ভস্থ ঘর (তাহখানা), ওজুখানা এবং আশপাশের এলাকা।

আরও পড়ুন : নীতীশের ভরাডুবি! সাথে লোকসভা ভোটে মোদীকে নিয়ে বিরাট ভবিষ্যদ্বাণী প্রশান্ত কিশোরের

এই প্রসঙ্গে কী বলেছিলেন কে কে মহম্মদ?

প্রাক্তন এএসআই অফিসার কে কে মহম্মদ দেশের সবচেয়ে বিতর্কিত কাঠামো বাবরি মসজিদ খনন কাজে যুক্ত ছিলেন। এবং সেই খনন চলাকালীন তিনিই স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করেছিলেন যে, এককালে বাবরির নিচে ছিল একটা আস্ত প্রাচীন হিন্দু মন্দির। সুপ্রিম কোর্টে যখন কেস ওঠে, তখন এই কে কে মহম্মদের রিপোর্টই হয়ে ওঠে হিন্দু পক্ষের মূল হাতিয়ার। তার রিপোর্ট দেখেই বিচারপতিরা মেনে নিয়েছিলেন যে, বাবরির নিচে যে কাঠামো ছিল তা ‘ইসলামি ঘরানা’য় নির্মিত নয়। আর এবার এই কে কে মহম্মদই (K K Muhammed) জ্ঞানবাপী নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন।

আরও পড়ুন : ‘শুধুমাত্র শুভেন্দুই…’, ভোটের আগে বাড়লো ঝাঁঝ, নয়া পদক্ষেপ DA আন্দোলনকারীদের

Gyanvapi Masjid 65b0fd523f237 asi 24064190 16x9

সম্প্রতি এই প্রাক্তন ASI অফিসারকে জ্ঞানবাপী প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি শুধু ওজুখানার নয়, জ্ঞানবাপী মসজিদের পুরো কাঠামোর প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মসজিদের কাঠামোটি একসময় মন্দিরের অংশ ছিল। পরে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব তা ভেঙে মসজিদে পরিণত করেন।’ তার কথায়, বর্তমান মসজিদের পশ্চিম দিকের একটি দেওয়ালই প্রমাণ করে যে, এটি এককালে হিন্দু মন্দির ছিল। কে কে মহম্মদ মনে করেন, এটা নিয়ে আর বিতর্ক হওয়াই উচিত নয়।

আরও পড়ুন : ‘মারণ রোগ’, গুরুতর অবস্থা! হাসপাতালে ভর্তি হলেন কবীর সুমন, উদ্বেগ বাড়ছে ভক্তদের মধ্যে

এমন পরিস্থিতিতে ঠিক কী হওয়া উচিত? প্রাক্তন অফিসারকে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন, ‘জ্ঞানবাপী মসজিদ হোক বা মথুরার শাহী ইদগাহ, একমাত্র বিকল্প হল সেগুলো হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া। সমস্ত মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের একত্রিত হওয়া উচিত এবং এই মসজিদগুলিকে হিন্দুদের কাছে হস্তান্তর করা উচিত, কারণ এই স্থানগুলি হিন্দুদের জন্য খুবই বিশেষ। জ্ঞানবাপী ভগবান শিবের সঙ্গে যুক্ত, মথুরা ভগবান কৃষ্ণের সাথে যুক্ত। এখানকার মসজিদের সঙ্গে মুসলমানদের কোনও আবেগের জায়গা থাকার কথা নয়।’


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর