বাংলা হান্ট ডেস্ক : নীতি পুলিশদের দায়ে টেকা দায়। ভাবখানা এমন যেন, দেশের আইন কানুন নয়, তাদের সিদ্ধান্তই সর্বোচ্চ। সম্প্রতি এই সংক্রান্তই এক ভয়াবহ দৃশ্য ধরা পড়ল কর্ণাটকে (Karnataka)। মুসলিম ধর্মাবলম্বী এক তরুণীকে ভালোবাসার কারণে বেধড়ক মার খেতে হল এক হিন্দু যুবককে। সেই সাথে ঐ মুসলিম তরুণীকেও ধর্ষিতা (Gang Rape In Karnataka) হতে হল নীতি পুলিশদের হাতেই। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শিহরিত গোটা দেশ।
সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের হাভেরি জেলায়। অভিযুক্ত ছয় যুবকের মধ্যে তিন যুবকের নাম মকবুল আহমেদ চন্দনকাট্টি (২৪), মদরসব মহম্মদ ইসাক মন্ডক্কি (২৩) এবং সমিউল্লাহ লালনাভর (২৩)। মিডিয়া সূত্রে খবর, গত ৮ জানুয়ারি ঐ প্রেমিক যুগল থাকার জন্য একটি হোটেলে ওঠেন। তাদের পিছু করে ঐ ছয় যুবকও আসেন হোটেলে। যুগলের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে অভিযুক্তরা জানায়, তারা হোটেলের বাথরুম পরীক্ষা করতে এসেছে।
ততক্ষণে রুমের ভেতরে থাকা মানুষ দুটি মোটামুটি আন্দাজ করেই নিয়েছেন যে, আততায়ীরা কারা। তারা জানায়, বাথরুম ঠিক আছে। সেটা শুনে তিন অভিযুক্ত জোরে জোরে দরজায় ধাক্কা মারতে থাকে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই দরজা খোলেন নির্যাতিত হিন্দু যুবকটি। রীতিমত হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢোকে সেই তিন যুবক। তাণ্ডব শুরু হয় হোটেল রুমে। অকথ্য গালিগালাজের সাথে চলতে থাকে মারধোর। ভাইরাল এক ভিডিওতে এক মুসলিম যুবক বলে ওঠে, ‘আমাদের মেয়েকে চাই তোর?’
আরও পড়ুন : ভোটের আগেই লাগু হবে CAA? পুরোদস্তুর তৈরি পোর্টাল! নাগরিকত্ব দেওয়ার পথে ভারত সরকার
মারতে মারতে ছিঁড়ে দেওয়া হয় জামা। একদিকে যুবককে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যদিকে তরুণীর উপর চড়াও হয় অপর আততায়ী। তরুণীর অভিযোগ, এরপরেই তাকে ধর্ষণ করে আততায়ীরা। ঘটনার দু’দিন পর এক হোটেলকর্মী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। তদন্ত শুরু হলে ঐ নির্যাতিতা তরুণী মিডিয়াতে দাবি করেন, হোটেল থেকে তাকে গাড়িতে করে লেকের পাড়ে নিয়ে গিয়েছিল সেই ছয় যুবক।
আরও পড়ুন : ‘WBCS-এ উর্দু, হিন্দি চাইলে ওয়াইসি-যোগীকে মুখ্যমন্ত্রী করতাম’! মমতার উপর রেগে বোম বাংলা পক্ষ
তারপর সেখানে একটা জঙ্গলে অভিযুক্ত ছয় যুবক এবং ড্রাইভার মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে সেই তরুণীকে রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে সিরসির বাসে তুলে দেয় অভিযুক্তরা। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ধর্ষণের বিষয়টা তারা মিডিয়া সূত্রেই জেনেছেন। এখনও কোনও মামলা দায়ের হয়নি, তবে নির্যাতিতা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিজের বয়ান রেকর্ড করলে এফআইআর-এ ধর্ষণের ধারা যুক্ত করা হবে।