বাংলা হান্ট ডেস্ক : অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (All India Muslim Personal Law Board) বুধবার (৫ জুলাই) দেশে ইউনিফর্ম সিভিল কোড (Uniform Civil Code) একটি সভা ডাকা হয়। এই সভায় এই আইন প্রয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা যায়। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় মুসলিম ল বোর্ড ইউসিসির বিরোধিতা করবে। শুধু তাই নয়, এই আইনের বিরোধিতা করার জন্য সাধারণ মানুষকেও আবেদন করা হয়।
এক দেশ এক আইনের প্রতিবাদের জন্য একটি লিঙ্কও দেওয়া হয়েছে যাতে মানুষ তাদের মত প্রকাশ করতে পারে। তবে বোর্ড যা ভাবুক না কেন, দেশের বাকি মুসলমানরাও কি ইউসিসি সম্পর্কে একই ভাবেন? এটি জানতে একটি সমীক্ষা করা হয়।
ইউপির শামলি চিনির জন্য বিখ্যাত। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, শামলির জনসংখ্যার ৬৭ শতাংশ হিন্দু এবং ৩২ শতাংশ মুসলিম৷ এই শামলিতে রয়েছে মুসলিম অধ্যুষিত কালান্দশহর মহল্লা, যেখানে আব্দুল সাত্তারের পরিবার বসবাস করে। তার বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও দুই মেয়ে, দুই ছেলে ও এক পুত্রবধূ রয়েছে।
পরিবারের মহিলারা কাঠের চামচের বান্ডিল তৈরির কাজ করেন সারা দিনের জন্য মোট ষাট টাকা পান। রিকশা চালিয়ে আব্দুল প্রায় তিনশত টাকা আয় করেন। এটি একটি খুব সাধারণ মুসলিম পরিবার। অদ্ভুত ভাবে এক দেশ এক আইন ইস্যুতে তাঁদের চিন্তাভাবনা শুনলে অবাক হতে হয়।
তাঁদের প্রথম প্রশ্ন করা হয় মেয়েদের বিয়ের বয়স নিয়ে। আব্দুল সাত্তারের স্ত্রী বলেন ২০ বছরের মধ্যে মেয়ের বিয়ে দিতে হবে। ছেলেমেয়েদের সংখ্যা দুই-তিন কম হলেও তার কোনো আপত্তি ছিল না। আবদুল সাত্তারের স্ত্রী বলেন, আমরা ভালো আছি। তাই পুত্রবধূও বললেন এই আইন আমাদের পছন্দ।
দেশে ইউসিসি বাস্তবায়িত হলে হালালা নিষিদ্ধ হবে। নারীদেরকে হালালা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা বলে হালালা ভালো লাগে না, কিন্তু হাদিসে লেখা আছে, তাই মেনে নিতে হবে। আবদুল সাত্তার বলেন, হালালা অপসারণে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। এটা আমার দৃষ্টিতে একটি ভালো আইন। যে নিষ্ঠুর প্রথা চলছে তার অবসান হওয়া উচিত। তিনি বলেন, আমি সম্পূর্ণ সজ্ঞানেই এ কথা বলছি। শরীয়ত প্রশ্নে তিনি বলেন, সময় অনুযায়ী পরিবর্তন হতে হবে। ভুল নিয়ম হয়েছে, ডিভোর্স দিয়ে অন্যের কাছে যাবেন না।