এক দপ্তরে আটকে থাকার দিন শেষ! ডিরেক্টরেট কর্মীদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নবান্নের

Published on:

Published on:

Nabanna clears common cadre for Directorate staff
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য আরও এক বড় স্বস্তির সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন (Nabanna)। এতদিন সচিবালয়ের কর্মীদের মতো সুযোগ না পেলেও, এবার ডিরেক্টরেটের কর্মীরাও এলেন কমন ক্যাডারের আওতায়। এই সিদ্ধান্তের ফলে তাঁদের পদোন্নতি ও বদলির ক্ষেত্রে বহুদিনের জট কাটতে চলেছে।

সিদ্ধান্তের সিলমোহর নবান্নের (Nabanna)

রাজ্য সরকারের সচিবালয়ের কর্মীদের মতো এবার ডিরেক্টরেটের কর্মীদেরও কমন ক্যাডার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভা এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে। এর ফলে ডিরেক্টরেটের কর্মীরাও কর্মীবর্গ এবং প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের অধীনে চলে এলেন, ঠিক যেমনটি এতদিন সচিবালয়ের কর্মীদের ক্ষেত্রে ছিল।

এই সিদ্ধান্তের ফলে ডিরেক্টরেটের কর্মীদের পদোন্নতির সুযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। পাশাপাশি, প্রয়োজনে তাঁদের বিভিন্ন দপ্তরে বদলিও করা যাবে। এতদিন পর্যন্ত নিয়ম ছিল, যে দপ্তরের ডিরেক্টরেটের অধীনে কোনও কর্মী চাকরি পেতেন, তাঁকে সারাজীবন সেই ডিরেক্টরেটেই কাজ করতে হত। অন্য দপ্তরে যাওয়ার কোনও সুযোগ ছিল না।

বিশেষ করে ছোট ডিরেক্টরেটগুলির ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল আরও বেশি। সেখানে অনেক সময় পদোন্নতির যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শূন্যপদ না থাকায় কর্মীরা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হতেন। নতুন নিয়মে সেই জট কাটছে। এখন কোনও কর্মীর পদোন্নতির সময় এলে, নিজের ডিরেক্টরেটে সুযোগ না থাকলে তিনি অন্য দপ্তরে পদোন্নতি নিয়ে যেতে পারবেন। পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবে কর্মীবর্গ এবং প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তর।

Nabanna is providing flats to the helpless in Newtown for 6 lakh

আরও পড়ুনঃ নির্বাচনের আগে সংগঠনে বড় রদবদল তৃণমূলের, ভরতপুর নিয়ে বিশেষ সিদ্ধান্ত দলের

নবান্নের (Nabanna) এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের রাজ্য আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক। তিনি জানিয়েছেন, ফেডারেশনের উদ্যোগে ডিরেক্টরেট কমন ক্যাডার গঠন সংক্রান্ত ফাইলে রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে ডিরেক্টরেট এবং রিজিওনাল মিলিয়ে অগণিত কর্মচারী উপকৃত হবেন। প্রতাপ নায়েকের কথায়, “ফেডারেশন কথা দিয়ে কথা রাখে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মচারী দরদি। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তা আরও একবার প্রমাণিত হল।”