পাড়া ভিত্তিক কর্মসূচির উদ্যোগ, ‘আমাদের পাড়া আমাদের কর্মসূচি’তে নিজস্ব তহবিল থেকে হাজার কোটি টাকা ঢালল নবান্ন!

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্য প্রশাসনের তরফে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্প শুরু হয়েছে। এখানে বুথভিত্তিক বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন হবে। সেগুলি ঠিক করে দেবেন সাধারণ মানুষই। এমনই কিছু কাজের তালিকা তৈরি করেছে রাজ্য (Nabanna)। জানা যাচ্ছে, অধিকাংশ বুথেই কী কাজ হবে না হবে তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে টেন্ডার ডাকার কাজও এগিয়ে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার এই প্রকল্পের জন্য নিজস্ব কোষাগার থেকেই ১০০০ টাকা দিয়ে দিল নবান্ন (Nabanna)।

আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান কর্মসূচিতে অর্থদান নবান্নের (Nabanna)

জানা যাচ্ছে, কোন জেলায় কত টাকার কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে সেসব খতিয়ে দেখে তারপর টাকা পাঠানোর কাজ শুরু করা হবে। উল্লেখ্য, পাড়া ভিত্তিক এক নতুন প্রকল্পের (Nabanna) জন্য প্রতি বুথের হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই হিসেবে মোট ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হওয়ার কথা রয়েছে।

Nabanna gave 1000 crore in amader para amader samadhan scheme

হিসেব কষেই পদক্ষেপ সরকারের: এদিকে রাজ্যের কোষাগারে টান পড়ছে বলে একাধিক বার অভিযোগ উঠেছে। এমতাবস্থায় এত টাকার জোগান কীভাবে দেওয়া হবে তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। তবে প্রশাসন দাবি করেছে, সমস্ত কিছু হিসেব নিকেশ করেই নাকি তারপর প্রকল্পের (Nabanna) ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে নাম গোপন রেখে এক আধিকারিক জানান, আপাতত হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ করা হবে। এই বরাদ্দকৃত অর্থ যাতে যথাযথ ব্যবহার করা হয় তার জন্যও সরকার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন : সর্ষের ঝাল তো অনেক হল, এবার পুজোয় হোক রাজকীয় খানাপিনা, বাড়িতেই সহজ রেসিপি মেনে বানান ইলিশ রোস্ট

কবে নাগাদ শেষ হবে কাজ: অন্যদিকে তালিকাভুক্ত কাজের জন্য প্রযুক্তিগত যাচাইয়ের প্রয়োজনে পূর্ত এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের বাছাই করে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এক টেকনিক্যাল ভেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই এই কাজ যাতে সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : বাংলায় প্রথমবার ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’এর স্ক্রিনিং, অনুপস্থিত শাশ্বত, ছবির নাম শুনেই যা বললেন…

জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ২১ হাজারেরও বেশি শিবির আয়োজিত হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাস্তা মেরামতি, পর্যাপ্ত আলোকে ব্যবস্থা, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, স্কুল মেরামতের মতো কাজের আবেদন জমা পড়েছে। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত শিবির চলবে বলে খবর। তালিকাভুক্ত কাজগুলি জানুয়ারির মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।