বাংলাহান্ট ডেস্ক : আর খরচ করা যাবে না যথেচ্ছ ভাবে। সরকারি কোষাগারের ‘চাপ’ কমাতে এবার অর্থ বরাদ্দে লাগাম টানল নবান্ন (Nabanna)। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পগুলির জন্য অর্থ বরাদ্দের সর্বোচ্চ সীমা ধার্য করে দেওয়া হয়েছে। কোন দফতরের এবং প্রধান সচিবেরা সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রকল্পের জন্য সর্বোচ্চ কত টাকা বরাদ্দ করতে পারবেন, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে নবান্নের (Nabanna) তরফে।
সরকারি অর্থ খরচে রাশ টানল নবান্ন (Nabanna)
২০২৩ সালের নির্দেশিকা সংশোধন করে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে নবান্নের (Nabanna) তরফে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্ত, সেচ, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, পুর ও নগরোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিষয়ক দফতরগুলির প্রকল্পে সর্বোচ্চ ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া যাবে। এই নির্দেশ নতুন এবং চলমান দুরকম প্রকল্পের জন্যই ধার্য করা হয়েছে।
কোন কোন দফতরের ঊর্দ্ধসীমায় কাটছাঁট: উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির জন্য ২০২৩ সালের নির্দেশিকায় ঊর্দ্ধসীমা ধার্য করা হয়েছিল ৫ কোটি। নতুন নির্দেশিকায় এক ধাক্কায় ২ কোটি কমিয়ে আনা হয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন, সুন্দরবন উন্নয়ন এবং পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। ২০২৩ এর নির্দেশিকায় যা ছিল ৩ কোটি টাকা।
আরো পড়ুন : ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেলেও দেখা নেই পর্যটকের, ভিড় এড়াতে পুজোর গন্তব্য হোক এই ৮ জায়গা
কেন হঠাৎ কমছে খরচ: ওই নির্দেশিকায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আবাসন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, তথ্য সংস্কৃতি দফতরের ক্ষেত্রে অর্থ অনুমোদনের ঊর্দ্ধসীমা রয়েছে ৭৫ লক্ষ টাকা। এছাড়া অন্যান্য দফতরগুলির ক্ষেত্রে ঊর্দ্ধসীমা (Nabanna) রয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি এও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, সব ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট দফতরের উপদেষ্টার শিলমোহর প্রয়োজন হবে। কিন্তু নির্বাচনের আগেই হঠাৎ করে খরচে কাটছাঁট কেন?
আরো পড়ুন : ভুলে যাবেন ঝাল-ঝোল-পাতুরির স্বাদ, এই বর্ষায় বাড়িতেই রেঁধে ফেলুন ইলিশ খিচুড়ি
এ বিষয়ে এক সরকারি (Nabanna) পদস্থ কর্তা জানান, বেশ কিছু দফতর কার্যত ‘লাগামছাড়া’ খরচ করছে। উপরন্তু যে কাজের জন্য খরচ হচ্ছে, তার রিভিউও হচ্ছে না যথাযথ ভাবে। এদিকে আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজের মতো একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। রাজ্য নিজের কোষাগার থেকে অর্থ দিয়ে সেই প্রকল্পগুলি চালাচ্ছে। উপরন্তু রাজ্য সরকারের নিজস্বও বেশ প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে কোষাগারের উপরে যে ‘চাপ’ পড়ছে সেকথা মুখ্যমন্ত্রী নিজেও প্রকাশ করেছেন একাধিক বার। তাই সব দিক ভেবেচিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর সূত্রের।