বাংলাহান্ট ডেস্ক : বুধবার, ৯ ই জুলাই সর্বভারতীয় ধর্মঘট। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা বনধে যোগ দিচ্ছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলিও। কিন্তু সর্বভারতীয় ধর্মঘট হলেও এদিনও খোলা থাকছে রাজ্য সরকারের (Nabanna) সমস্ত দফতর। তাই কর্মীদেরও বাধ্যতামূলক ভাবে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছুটি নিলেই নেওয়া হবে কড়া ‘অ্যাকশন’। সোমবারই নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।

বুধবার বনধ নিয়ে নির্দেশিকা জারি নবান্নের (Nabanna)
নবান্নের অডিট ব্রাঞ্চ থেকে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। সেখানে কর্মীদের উদ্দেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ৯ ই জুলাই কোনো ভাবেই কোনো ‘ক্যাজুয়াল লিভ’ বা অন্য কোনো ছুটি নেওয়া যাবে না। ওই দিন ছুটি নিলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে কর্মীদের বিরুদ্ধে। ওই দিন অনুপস্থিত থাকলে তাকে ‘ভাইস-নন’ হিসেবে গণ্য করা হবে। সেদিনের বেতন কাটা যাবে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের।
কী বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে: বিজ্ঞপ্তিতে (Nabanna) আরও বলা হয়েছে, বুধবার বনধের দিন কোনো কর্মী যদি অনুপস্থিত থাকে, তবে তাঁকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হবে। সঠিক ভাবে কারণ দর্শাতে না পারলে বা যথাযথ নথি না দিলে ছুটি মঞ্জুর করা হবে না বলেই জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। যদিও ওই বিজ্ঞপ্তিতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন : পরীক্ষা দিতে চাইছেন না, এখনও গভীর ট্রমা, কেমন আছেন কসবার নির্যাতিতা?
কাদের জন্য ছাড় রয়েছে: নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনো কর্মী যদি হাসপাতালে ভর্তি থাকেন, পরিবারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে, ৮ ই জুলাইয়ের আগে থেকেই যদি গুরুতর অসুস্থতার কারণে কোনো কর্মী ছুটিতে থাকেন, আগে থেকেই অনুমোদিত মাতৃত্বকালীন ছুটি, মেডিকেল, আর্নড লিভ বা চাইল্ড কেয়ার লিভে থাকলে সেক্ষেত্রে ছাড় মিলবে। সব দফতরের (Nabanna) আধিকারিকদের ৩১ শে জুলাইয়ের মধ্যে অর্থ দফতরে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে (Nabanna) স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, যেভাবেই হোক ৯ ই জুলাই সমস্ত দফতর খুলতে হবে এবং সব কর্মীদের হাজিরাও নিশ্চিত করতে হবে।
আরো পড়ুন : শীর্ষস্থান খুইয়েছে কলকাতা, ৬ নম্বরে নামতেই স্বস্তি শহরবাসীর, কী এমন ঘটাল পুরসভা?
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের চালু করা নতুন শ্রম কোড বাতিলের দাবি তুলে বুধবার দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং ফেডারেশনগুলি। সংগঠনগুলি অভিযোগ করেছে, ওই নতুন শ্রম কোডে ১৩ ঘন্টা কাজের ব্যবস্থা এবং সংগঠিত ক্ষেত্রের ৭৫ শতাংশ কর্মী শ্রম সুরক্ষার বাইরে চলে যাচ্ছেন।