বাংলা হান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে শিক্ষা দফতরের স্বশাসিত বোর্ডের কর্মীদের বেতন পুনর্বিন্যাসের নির্দেশ দিল নবান্ন, নবান্নের অর্থ দফতরের তরফ থেকে ওই কর্মীদের বেতন পুনর্বিন্যাসের নির্দেশ দিয়ে তাঁদের ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় এনে বেতন বৃদ্ধি করার নির্দেশ জারি হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। চলতি অক্টোবর মাসে জারি করা সেই বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে রাজ্যের সরকার পোষিত যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তাদের শিক্ষা কর্মীদের বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করতে হবে ।
শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় নয় সেকেন্ডারি এডুকেশন হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ মাদ্রাসা এডুকেশন সহ সমস্ত বোর্ডের কর্মীদের বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করে তাদের ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তাই বেতন কমিশন কেউ এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের অর্থ দফতর। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশন নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক শিবিরের ফলাফল খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি তাই সরকারি কর্মচারীদের বাগে আনতে সেপ্টেম্বর মাসে বেতন কমিশনের সুপারিশ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং আগামী বছর জানুয়ারি মাস থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। যদিও ইতিমধ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ মন্ত্রিসভাতেও সিলমোহর পেয়েছে। মহার্ঘ ভাতা নিয়ে উচ্চবাচ্য না করলেও বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী মূল বেতন ও মহার্ঘ ভাতার ওপর সরকারি কর্মচারীদের 14.2 শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
যেহেতু তিন বছর ধরে বেতন কমিশনের মেয়াদ বার বার বৃদ্ধি হয়েছে তাই এই মুহূর্তে চলতি বছরে সরকারি কর্মচারীদের কোনও বকেয়া টাকা দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে কিন্তু বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বেতন বাড়বে অনেকটাই। এরই মধ্যে আবার পশ্চিমবঙ্গের স্বশাসিত বোর্ডগুলির কর্মীদের বেতন বাড়ানোর খবরে যথেষ্টই খুশির হাওয়া কর্মচারী মহলে।