বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশি বিনোদন জগতে গত এক মাস ধরে চর্চায় একটাই নাম, পরীমণি (porimoni)। বাড়িতে বেআইনি মদ ও মাদক দ্রব্য রাখার অপরাধে যিনি সদ্য ২৬ দিনের জেল খেটে এসেছেন। জেল থেকে ছাড়া পেয়েও মানসিক শান্তি পাচ্ছেন না নায়িকা। তাঁকে নিয়ে ক্রমাগত লেখালেখি সে দেশের সংবাদ মাধ্যমে। তার আঁচ এসে লেগেছে এপার বাংলাতেও। এই কঠিন পরিস্থিতিতে মাত্র দুজন মানুষকে পাশে পেয়েছেন পরীমণি। তাঁদের মধ্যে একজন গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী (nachiketa chakraborty)।
ওপার বাংলাতেও সমান জনপ্রিয় নচিকেতার গান। বিশেষত পরীমণি খুব বড় ভক্ত নচিকেতা। এই কঠিন সময়ে নচিকেতার গান শুনেই বেঁচে থাকার রসদ যোগাচ্ছেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকেই একথা জানতে পেরেছেন নেটনাগরিকরা। জেনেছেন খোদ গায়কও। আর জেনেই পরীমণিকে তাঁর আশ্বাস, পূর্ণ সমর্থন রয়েছে তাঁর অভিনেত্রীর প্রতি।
নচিকেতার বক্তব্য, সমাজ এটা বোঝে না যে তারকা হলেই যে তাঁর আর ‘না’ বলার অধিকার থাকবে না এমনটা নয়। পরীমণি রুখূ দাঁড়িয়েছেন বলেই আজ এত কিছু সহ্য করতে। হচ্ছে তাঁকে। গায়ক বলেন, “আমার ব্যক্তিগত ভাবে পরীমণিকে ভাল লাগে। যেটা বলা উচিত সেটা সকলের সামনে বলার ক্ষমতা রাখেন। ওঁর দেশের পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। পরীমণি খুব সাহসী। যা করছেন বেশ করছেন।”
পাশাপাশি আজ অভিনেত্রীর যে অবস্থা তার জন্য সমাজ তথা সংবাদ মাধ্যমকেও দোষীর তকমা দিয়েছেন নচিকেতা। তাঁর অভিযোগ, সংবাদ মাধ্যম কেচ্ছা ঘাঁটে। আর এই সমাজ শুধু বাংলাদেশেই নয়, এদেশেও রয়েছে। আর তার সবথেকে বড় উদাহরণ নুসরত জাহান। তাঁর বেলাতেও কেচ্ছার গন্ধ পেয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সমাজ।
দিন কয়েক আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন পরীমণি। কিন্তু বাইরে এসেও তাঁর মন থেকে ভয় দূর হয়নি। এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে একজনের কথাই মনে পড়েছে তাঁর যিনি তাঁকে এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (sheikh hasina)।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক হ্যান্ডেলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন পরীমণি। তিনি লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা, আমাকে কি একটু নিরাপত্তা দিতে পারেন! রাস্তার মানুষগুলোও এত অনিরাপদ না। একবার একটু দেখেন না আমার দিকে, কী করে বেঁচে আছি’।