নন্দীগ্রাম দিবসে মমতাকে জোর টক্কর বিজেপির, জোড়া অনুষ্ঠানে শুভেন্দু

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ১৫ বছর আগে আজকের দিনেই নন্দীগ্রামে গুলি চালায় পুলিশ। তারপর থেকে প্রতিবছরই ১৪ মার্চ দিনটিকে নন্দীগ্রাম দিবস হিসেবে পালন করে তৃণমূল। নন্দীগ্রামে এই আন্দোলনের মাধ্যমেই মমতার হাত ধরে প্রত্যক্ষ রাজনীতির মুখ হিসেবে উঠে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

বর্তমানে সেই মমতাকেই হারিয়ে বিরোধী শিবির থেকে নন্দীগ্রামের মসনদে শুভেন্দু। নন্দীগ্রামে ঢোকায় এখন কার্যতই দুরস্ত তৃণমূল নেতা কর্মীদের পক্ষে। কিন্তু এই নদীগ্রাম দিবসে এক ইঞ্চিও জমি ছেড়ে দিতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এহেন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এদিন নন্দীগ্রামে ব্যাপক উত্তেজনার কালো মেঘ দেখছেন পর্যবেক্ষক মহল।

এদিন নন্দীগ্রামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দুই দলই। গণহত্যার ১৫ তম বর্ষে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে দুটি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। প্রথমে গোকুলনগরের মালপল্লিতে শহিদ বেদিতে এবং গৌরাঙ্গের মূর্তিতে মালা দিয়ে হরিনাম সংকীর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্বিতীয়টিতে সোনাচূড়ার ভাঙাবেড়ায় অন্য আর একটি শহিদ বেদিতে মাল্যদানের পর রয়েছে কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচি। এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তৃণমূলের একাধিক তাবড় নেতা নেত্রী। এদিন নন্দীগ্রামে যাবেন সাংসদ দোলা সেন, কুণাল ঘোষ ও সঞ্জয় বক্সী। উপস্থিত থাকতে পারেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এবং অখিল গিরিও।

বিধানসভায় চলছে বাজেট অধিবেশন। কিন্তু তার মধ্যেই নন্দীগ্রাম দিবস নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির তরফেও এদিন সোনাচূড়া এবং অধিকারী পল্লীতে দুটি রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের অনুষ্ঠানের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। দুটিতেই থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর যদি সময় থাকে তবেই তিনি উপস্থিত হবেন বিধানসভায়।

নন্দীগ্রাম দিবসের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। ফলে তাদের নন্দীগ্রাম দিবস পালন অমূলক, এহেন দাবি তুলে ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল। যদিও এর প্রেক্ষিতে বিজেপির পালটা দাবী ‘কৃতিত্ব নয়, মানুষের পাশে থাকতে চেয়েই এই অনুষ্ঠান বিজেপির’। এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই আজকের এই অনুষ্ঠানে যে দুদলের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ানো নেহাত অসম্ভব নয়, তেমনটাই মত পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের।

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর