বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটা সময় হরিদ্বারের (Haridwar) ধর্ম সংসদের সভা থেকে সংখ্যালঘুদের গণহত্যার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। উগ্র হিন্দুত্বের প্রচারক হিসাবেও বেশ জনপ্রিয় তিনি। সোমবার সেই যতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী আত্মসমর্পণ করলেন আদালতে। কিছুক্ষণের মধ্যে আবার জামিনও পেয়ে যান তিনি।
জানা গিয়েছে, সোমবার মুজফ্ফরনগরের একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিয়াবাদের দাসনা দেবী মন্দিরের পুরোহিত নরসিংহানন্দ। জানা যাচ্ছে, সাম্প্রদায়িক হিংসার প্রচার ও আইন অমান্য করার আভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এদিন শুনানি শেষে নরসিংহানন্দের জামিন অযোগ্য পরোয়ানা রদ করে দেয় আদালত। সঙ্গে ২০ হাজার টাকার দু’টি বন্ডের বিনিময়ে জামিনও মঞ্জুর করেন বিচারপতি। অক্টোবরের ১৮ তারিখ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়। মুজফ্ফরনগর দাঙ্গার অন্যতম আভিযুক্তের এই ভাবে জামিন হওয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে।
২০১৩ সালের আগস্টে মুজফ্ফরনগরের নাগলা মাদোর গ্রামে উসকানিমূলক ভাষণ দিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা প্ররোচনা দেন তিনি। এমনই অভিযোগ রয়েছে নরসিংহানন্দের বিরুদ্ধে। মামলায় ২১ জন অভিযুক্তের মধ্যে নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়ান, উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী কপিলদেব আগরওয়াল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেত্রী সাধ্বী প্রাচীরও।
মাস কয়েক আগে হরিদ্বারে তিনদিন ধরে অনুষ্ঠিত হয় ধর্ম সংসদ। যেখানে উসকানিমূলক এবং বিদ্বেষমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে একাধিক ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। এই মঞ্চ থেকেই মুসলিমদের গণহত্যার ডাক দেন নরসিংহানন্দ। তারপর বির্তকের জেরে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। বিতর্কিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু রক্ষা সেনার প্রবোধানন্দ গিরি, বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী উদিতা ত্যাগী এবং বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়।