বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ ১৫ ই আগস্ট, স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে লালকেল্লা থেকে জাতীয় পতাকার উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। একইসঙ্গে ১৩০ কোটি দেশবাসীর কাছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আবেদন জানান তিনি। এদিন মোদীর মুখে শোনা গিয়েছে ‘ভাই ভাতিজাবাদ’ এবং ‘দুর্নীতি’ প্রসঙ্গ। বাংলা থেকে মহারাষ্ট্র এবং রাজধানীর বুকে যেভাবে বিরোধীদের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসে চলেছে, তার বিরুদ্ধেই এদিন সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী। লালকেল্লা থেকে নরেন্দ্র মোদী প্রধান যে দুটি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন, তা হল ‘দুর্নীতি’ এবং ‘ভাই ভাতিজাবাদ’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রধান দুটি বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা করা হবে। প্রথমটি ‘দুর্নীতি’ এবং দ্বিতীয়টি হল ‘ভাই ভাতিজাবাদ”। একদিকে দেশে এমন অনেক মানুষ রয়েছে, যাদের থাকার জায়গা নেই। অথচ অপরদিকে, আবার বেশ কিছু মানুষের কাছে চুরি করা অর্থ রাখারই জায়গা হচ্ছে না। এটা অনুচিত। কেন্দ্র সরকার প্রযুক্তির মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। তবে সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। ১৩০ কোটি দেশবাসীর কাছে আমি আবেদন জানাচ্ছি, চলুন সবাই মিলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করি।”
এদিন মোদী বলেন, “বর্তমানে দেশে দুর্নীতি হওয়া সত্ত্বেও উদার মনোভাব দেখা গিয়েছে। আদালতে দুর্নীতি প্রমাণ হওয়ার পাশাপাশি সাজা ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। জেলে যাওয়া নিশ্চিত কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের প্রশংসা করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে।” প্রসঙ্গত, বাংলায় কয়লা পাচার থেকে শুরু করে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় শাসকদলের একাধিক নেতা নেত্রীদের নাম জড়িয়ে চলেছে। এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মণ্ডলরা বর্তমানে হেফাজতে রয়েছেন। গতকালই আবার অনুব্রত মণ্ডলের প্রশংসা করতে শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এর মাঝে এদিন নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য বেশ প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে।
একই সঙ্গে পরিবারতন্ত্র নিয়ে মোদীর দাবি, “রাজনীতির মধ্যে পরিবারতন্ত্রের কথা কেবলমাত্র বলা হচ্ছে না। এই পরিবারতন্ত্রের জন্য বহু প্রতিভা ক্ষতির মুখোমুখি হয়ে চলেছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের ঘৃণা জাগাতে হবে। কেবলমাত্র যোগ্যতার উপর নির্ভর করেই প্রতিভার বিকাশ পাওয়া উচিত। এর জন্য ১৩০ কোটি দেশবাসীর সাহায্য আবেদন করছি।” প্রধানমন্ত্রী জানান, “আগামী ২৫ বছর আমাদের দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময় হতে চলেছে। দাসত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি আগামী ২৫ বছরে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে হবে।”