বাংলাহান্ট ডেস্ক : গুরু তেগ বাহাদুরের ৪০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাতে নয়া ইতিহাস লিখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোঘল আমলে তৈরি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ লাল কেল্লায় সূর্যাস্তের পর ভাষণ দেওয়া ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। এর আগে ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী সূর্যাস্তের পর লাল কেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেননি। তবে লাল কেল্লার প্রাচীর থেকে নয়, লন থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
সংস্কৃতি মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই দুর্গ থেকেই মুঘল শাসক আওরঙ্গজেব ১৬৭৫ সালে নবম শিখ গুরু গুরু তেগ বাহাদুরের শিরশ্ছেদ করার আদেশ দিয়েছিলেন। এই কারণেই লাল কেল্লাকে বেছে নেওয়া হয়েছে গুরু তেগ বাহাদুরের ৪০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে। সংস্কৃতি মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ৯.৩০ মিনিটে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
স্বাধীনতা দিবস ছাড়া এদিন এই ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ সালেও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ সরকার গঠনের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন করে লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে সকাল ৯টায় লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিয়েছিলেন মোদী।
বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে ৪০০ শিখ সঙ্গীতশিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনা করতে দেখা যাবে। থাকবে লঙ্গরও। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই উপলক্ষে একটি স্মারক মুদ্রা এবং ডাকটিকিটও প্রকাশ করবেন নরেন্দ্র মোদী। লাল কেল্লার কাছে চাঁদনি চকে অবস্থিত গুরুদুয়ার। সিস গঞ্জ সাহেব । মুঘলরা যেখানে গুরু তেগ বাহাদুরের শিরশ্ছেদ করেছিল সেই স্থানে তৈরি করা হয়েছে এই গুরুদুয়ার। তবে শিখ ধর্মগুরুর জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর এহেন উদ্যোগে যে কার্যতই আপ্লুত শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা তা বলাই বাহুল্য।