বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) শুক্রবার আচমকাই লাদাখ (Ladakh) সফরে যান আর সেখানে তিনি জওয়ানদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের মনোবল বাড়ান। এরপর তিনি লেহ-এর হাসপাতালের সফরেও যান সেখানে আহত জওয়ানদের সাথে দেখা করেন তিনি। ওনার হাসপাতাল সফর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এবং রাজনৈতিক মঞ্চে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
আর সেই ঝড়কে থামাতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয় এবং সেনার তরফ থেকে বয়ান জারি করা হয়েছে। দুই তরফ থেকে জারি বয়ান অনুযায়ী, ‘৩রা জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেহ-এর হাসপাতালে যান আর সেখানে আহত সেনা জওয়ানদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এরপর থেকেই ওনার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী যেখানে আহত জওয়ানদের সাথে সাক্ষাৎ করেন, সেটি হাসপাতালেরই অংশ।”
There have been malicious and unsubstantiated accusations in some quarters regarding the status of the facility visited by the Prime Minister Narendra Modi during his visit to General Hospital at Leh on July 03: Ministry of Defence pic.twitter.com/9HfTxENrDL
— ANI (@ANI) July 4, 2020
মন্ত্রালয় এবং সেনার তরফ থেকে জানানো হয় যে, এটা খুবই দুঃখজনক যে, সেনার জওয়ানদের সাথে এরকম দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ঘটনা নিয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে। সেনা নিজেদের কর্মীদের সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদান করে। আমরা স্পষ্ট জানাচ্ছি যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেখানে জওয়ানদের সাথে সাক্ষাৎ করেন, সেটি হাসপাতালেরই অংশ। করোনার সঙ্কটের কারণে সেখান ১০০ টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
#IndianArmy clarification on status of facility at General Hospital, Leh.https://t.co/LmEOrk0Hyf pic.twitter.com/s1biqIVpN4
— ADG PI – INDIAN ARMY (@adgpi) July 4, 2020
প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয় থেকে জানানো হয় যে, গালওয়ান উপত্যকায় চীনের সাথে হওয়া সংঘর্ষে আহত জওয়ানদের এখানে রাখা হয়েছিল। আর তাঁর প্রধান কারণ হল, গোটা হাসপাতাল করোনার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। আর এই জওয়ানদের করোনা ওয়ার্ড থেকে দূরে রাখার জন্যই এখানে আনা হয়েছে। সেনা প্রধান এমএম নরবানে আর সেনা কম্যান্ডারও এখানে এসেই আহত জওয়ানদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
আপনাদের জানিয়ে দিই, লেহ-তে সেনার এই হাসপাতাল ১৯৬২ এর আগে থেকেই আছে। সেখানে ৩০০ টি বেডের ব্যবস্থা ছিল। বাকি হাসপাতাল করোনার রোগীদের জন্য ব্যবহার হওয়ার কারণে হাসপাতালের কনফারেন্স রুমকে আহত জওয়ানদের জন্য ব্যবহার করা হয়। সেখানে নতুন করে ১০০ টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়। আর এই কনফারেন্স রুমেই জওয়ানদের রাখা হয়েছে।