বাংলাহান্ট ডেস্ক : চাকরিতে নিয়োগের জন্য রাজনৈতিক দলগুলি কোনরকম দুর্নীতির (Scam Case) আশ্রয় নিচ্ছে কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এবার আমালাদের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজ্ঞান ভবনে ষষ্ঠ সিভিল সার্ভিস দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, কড়া ভাবে নজর রাখতে হবে যাতে রাজনৈতিক দলগুলি করদাদাতের টাকা দেশের উন্নয়নের কাজের বদলে নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থে না লাগায়।
পাশাপাশি মোদি (Narendra Modi) আরোও জানান, কর দাতাদের টাকা ঠিকমতো দেশের কাজে লাগছে কিনা সেই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকা আমলাতন্ত্রের মধ্যে পড়ে। এটা ঠিক যে গণতন্ত্রে গুরুত্ব রয়েছে রাজনৈতিক দলের। এক একটি দলের যে এক এক রকম ভাব ধারা হবে তা সংবিধান স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু আমাদের দেখতে হবে মানুষের করের টাকা রাজনৈতিক দলগুলি দেশের কাজে লাগাচ্ছে নাকি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার কাজে লাগাচ্ছে।
একই সাথে মোদির সংযোজন, কর দাতাদের টাকায় রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের কাজে লাগাচ্ছে নাকি নাগরিকদের জীবন সুবিধা করার জন্য লাগাচ্ছে? দলগুলি কি করের টাকায় ভোট ব্যাংক তৈরি করছে? করের টাকা দিয়ে বিজ্ঞাপন করছে? নাকি সচেতন করছে মানুষকে বিভিন্ন যোজনা সম্পর্কে? আমাদের দেখতে হবে বিভিন্ন সংগঠনে নিজেদের কর্মীদের ঢুকিয়ে দিয়ে তারা নিয়োগে দুর্নীতি করছে কিনা।
মোদি তার বক্তৃতায় কোনো রাজনৈতিক দলের নাম না টানলেও, কূটনৈতিক মহল মনে করছে মোদির নিশানায় ছিল কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ বা বিআরএস- এর দলগুলি। কংগ্রেস এই বিষয়ে বলেছে, গত কয়েক বছরে সব থেকে বেশি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাটে। প্রধানমন্ত্রী ‘কিসান সম্মান নিধি’ প্রকল্পে তিন কিস্তিতে বছরে ৬ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে দেশের প্রায় ১০ কোটি কৃষককে।
এছাড়াও তৃণমূলের বক্তব্য, মোদি যে খয়রাতির রাজনীতির অভিযোগ তুলছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “এসব কথা কে বলছেন! কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভায় নিজেই জানিয়েছে, ‘বেটী বঁচাও, বেটী পড়াও’ যোজনার মোট ৬৮৩ কোটি টাকার মধ্যে ৪০১ কোটি টাকা ২০২১ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ হয়েছে। এর থেকেই প্রমাণিত বিজেপি সবথেকে বেশি খয়রাতি করে।