বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাত পোহালেই মুক্তি পাবে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ (Brahmastra)। অথচ বিতর্ক এখনো অব্যাহত। নেটমাধ্যম থেকে যার জল গড়িয়েছে রাজনৈতিক মহল পর্যন্ত। গোমাংস প্রেম নিয়ে রণবীর কাপুরের (Ranbir Kapoor) একটি পুরনো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তার জেরে উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি রণবীর আলিয়াকে। মন্দিরের বাইরে বিক্ষোভরত বজরং দল নায়ক নায়িকার মন্দিরে প্রেবেশে বাধা সৃষ্টি করে।
কিন্তু মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র সম্পূর্ণ ভিন্ন দাবি করেন এদিন। রণবীর আলিয়াকে মন্দিরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়নি। বরং তাঁরা নিজেরাই মন্দিরে ঢুকতে চাননি, দাবি নরোত্তম মিশ্রর। তিনি আরো জানান, মন্দিরের বাইরে অন্য কোনো একটি বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ চলছিল। রণবীর আলিয়ার সঙ্গে কোনো সংযোগই ছিল না ওই প্রতিবাদের। কিন্তু তবুও অভিনেতা অভিনেত্রী ভেতরে ঢুকতে চাননি।
নরোত্তম মিশ্র আরো জানান, রণবীর আলিয়ার সঙ্গে লোকজন মন্দিরের ভেতরে ঢুকেছেন, পুজোও দিয়েছেন। অভিনেতা অভিনেত্রীকেও স্বাগত জানানো হয়েছিল মন্দিরের ভেতরে ঢোকার। তাঁরাই ঢুকতে চাননি বলে দাবি মধ্য প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
এ ঘটনা গত মঙ্গলবারের। এদিন উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন রণবীর, আলিয়া এবং পরিচালক অয়ন মুখার্জি। কিন্তু মন্দিরে প্রবেশের আগেই বাধা পান তাঁরা। রণবীর আলিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে মন্দিরের বাইরে জড়ো হয় বজরং দলের সদস্যরা। ‘হিন্দু বিরোধী’ এবং ‘গোমাংস ভক্ত’ রণবীর আলিয়াকে মহাকাল মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না, এমনি দাবি তুলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে তারা।
বজরং দলের এক সদস্য সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। রণবীর আলিয়ার মন্দির দর্শনের কথা ছিল। তাই তারা কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। রণবীরকে মন্দিরে ঢোকা থেকে বাধা দিতে চান তাঁরা। কারণ তিনি গোমাতাকে নিয়ে অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন।
তিনি গোমাংস ভক্ত। তাই তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছিল। হঠাৎ করেই পুলিস লাঠিচার্জ শুরু করে। যদিও মধ্য প্রদেশ পুলিসের চিফ সুপারিন্টেডেন্ট দাবি করেন, বিক্ষোভরত জনতা পুলিসকে আক্রমণ করেছিল। তাই বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে।