বাংলাহান্ট ডেস্ক : চলতি বছরের গরম ছাপিয়ে গেছে অতীতের সব রেকর্ডকে। শুধু ভারত বা বাংলাদেশ নয়, ইউরোপ-আমেরিকা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তীব্র দাবদাহে নাজেহাল। নাসার (National Aeronautics and Space Administration) জলবায়ুবিদ গ্যাভিন শ্মিড্ট বৃহস্পতিবার বলেছেন, ২০২৩ সালের জুলাই মাস সম্ভবত পৃথিবীর হাজার বছরের ইতিহাসের সব থেকে উষ্ণতম মাস।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মেইন ইউনিভার্সিটি একটি সমীক্ষার রিপোর্টে বলেছে, পৃথিবীর স্থলভাগ উপগ্রহের ডেটা একত্রিত করে দেখা গেছে প্রতিদিনের গড় তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙে গেছে।
নাসা ব্রিফিংয়ে গ্যাভিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, এই রিপোর্ট দুটি যদিও একে অপরের থেকে সামান্য আলাদা। তবে প্রচন্ড দাবদাহের কথাটি সন্দেহাতীত।
মার্কিন সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে জারি করা রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে গরমের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাবে। নাসার শীর্ষ জলবায়ুবিদ গ্যাভিন শ্মিড্টেরের কথায়, “সারা বিশ্ব জুড়ে আমরা অভূতপূর্ব পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। ইউরোপ, আমেরিকা, চীনে আমরা যে তাপমাত্রার বদল দেখছি তা কল্পনাতীত।” বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এই আবহাওয়া পরিবর্তনের পেছনে শুধুমাত্র এল নিনোকে দায়ী করলে চলবে না।
এক্ষেত্রে এল নিনো ছোট ভূমিকা পালন করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন মহাসাগরের ক্রমশ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েক মাসে গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলগুলির বাইরে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রীন হাউজ গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামীদিনের তাপমাত্রা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের।