বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সংসদে হট্টগোলের অভিযোগ। লোকসভায় সাসপেন্ড অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতাকে শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হল। শুধু অধীরই নন, বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ সহ মোট ৩১ জন বিরোধী সাংসদ (Opposition MP) সাসপেন্ড সংসদে। এহেন ‘নজিরবিহীন’ ঘটনা শেষ কবে লোকসভায় (Loksabha) ঘটেছিল তা বলা সত্যিই কঠিন।
এদিন সংসদে হট্টগোল করার অভিযোগে শীতকালীন অধিবেশন থেকে ৩১ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে দিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। সূত্রের খবর, এদের মধ্যেই তিন জন সাংসদ স্পিকারের পোডিয়ামে উঠে পড়েছিলেন। ওই তিনজনার বিরুদ্ধে সংসদের স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড তৃণমূল কংগ্রেসের ৯ জন। সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় , কাকলি ঘোষ দোস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়দের।
সূত্র মারফত খবর গত ১৩ তারিখ সংসদ হানার ইস্যু তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর বিবৃতি দাবি লোকসভায় স্লোগান দিচ্ছিলেন তারা। লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে চলছিল স্লোগান। কংগ্রেস সাংসদদের পাশাপাশি তৃণমূল, ডিএমকে সাংসদরাও স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ নিয়েই তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে বিরোধী দলের ওই ৩১ সাংসদকে সাসপেন্ড করে দেন স্পিকার।
আরও পড়ুন: ‘১০-১২ জন সাংসদ মারা যেত’, কিভাবে সংসদে হামলাকারীকে ধরলেন ‘দাবাং’ অর্জুন? শুনলে শিউরে উঠবেন
এদিন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ ভেঙ্কটেশ জোশী এই ৩১ জন সাংসদের নাম পড়ে তাদের যেন সাসপেন্ড করা হয় সেই প্রস্তাব পেশ করেন। তাতে সায় দেন স্পিকার ওম বিড়লা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি ভাগ্যবান যে আমি এখন সাংসদ নই। যা হচ্ছে তা কাঙ্খিত নয়।’ উল্লেখ্য, এর আগে গত সপ্তাহে ১৪ জন বিরোধী সাংসদকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৪৬ জন সাংসদকে এই অধিবেশনে সাসপেন্ড করা হল।