বাংলা হান্ট ডেস্ক : গোটা বাংলা (West Bengal) জুড়ে এখন একটাই প্রশ্ন, দত্তপুকুরের (Duttapukur) বাজি কারখানার পেছনে রয়েছে কাদের হাত? তাদের রাজনৈতিক ভাবেই বা কোন গোষ্ঠীর এনিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। এখনওপর্যন্ত দত্তপুকুরের মোচপুরের ওই বাজি কারখানার বিস্ফোরণে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অভিযোগ উঠছে ISF র দিকে : ঘটনার পরপরই খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ আঙুল তুলেছেন আইএসএফের দিকে। পাল্টা জবাব দিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। শুধু তাই নয়, ঘটনায় এনআইএ তদন্তেরও দাবি তুললেন তিনি। রবিবার বিকেলেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান ভাঙড়ের বিধায়ক।
কী বললেন নওশাদ? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কোথা থেকে ওই বিপুল বিস্ফোরক এলাকায় আসত সেই সত্যিটা প্রকাশ করা হোক। এতবড় বিস্ফোরণ, কাকে ধরবে পুলিস? এখানে ভানু বাগের মতো দামাল ছেলে রয়েছে, সামসুল আছে, কেরামত আছে, আজিবর রয়েছে। এদের খোঁজ নিন, কোথায় এরা? এইসব দামাল ছেলেদের ধরার সাহস রয়েছে পুলিসের? পুলিস তাদের ধরতে পারে না তাই তোলাবাজি করছে।’
পুলিস কি তোলাবাজিতে ব্যস্ত? বিধায়ক আরও জানান, ‘এখানে যে বাজি কারখানা রয়েছে তা পুলিসকে বারবার মানুষ জানিয়েছে। গ্রিন বাজি বাজে কথা। ওসব করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দামালরা আর বোমা মেরে বুথ দখল করতে পারবে? মানুষকে বোকা বানানোর জন্য গ্রিন বাজির কথা বলা হচ্ছে। এই ঘটনার পর আমার একটাই দাবি, এনআইএ তদন্ত হোক। যারা দোষী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। মুর্শিদাবাদ থেকে শ্রমিক এনে এখান কাজ করা হতো। পুলিস তোলাবাজি করতে ব্যস্ত ছিল।’
আরও পড়ুন : ১০০ মিটার দূরে ছিটকে পড়ল দেহ, চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মাংসপিণ্ড! দত্তপুকুর কাণ্ডে কতজনের মৃত্যু?
তৃণমূল যোগ নেই, দাবি নেত্রীর : ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের যোগ থাকার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন, ‘বাড়ি মালিকের স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে কথা বললাম। তাঁরা বলছেন, বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এই বাজি কারখানাটি আমাদের বোর্ড বন্ধ করে দিয়েছিল। নতুন পঞ্চায়েত সদস্য এসে সালিশিসভা বসিয়ে কারখানা ফের চালু করে। খোঁজ নিয়ে জানলাম ওই সদস্য আইএসএফের।’