বাংলাহান্ট ডেস্ক: বছর দেড়েক আগে মাদক মামলায় ফেঁসেছিলেন আরিয়ান খান (Aryan Khan)। বিলাসবহুল ক্রুজ থেকে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন শাহরুখ খান (Shahrukh Khan) পুত্র। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল মাদক সেবন এবং বেআইনি মাদক পাচারের। যদিও প্রায় এক মাস জেলে থাকার পর তিনি ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান এবং তারপর বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের তদন্তের সাপেক্ষে তাঁকে বেকসুর খালাস করা হয়।
আরিয়ান মুক্ত হওয়ার পরেই বিপাকে পড়েন NCB আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে। তিনিই ক্রুজে আচমকা হানা এবং আরিয়ানকে গ্রেফতারির ঘটনাটার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু শাহরুখ পুত্র জেলে থাকাকালীন যখন সমীরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিভিন্ন মহল, তখন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী নবাব মালিক সুর চড়িয়েছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে।
এমনকি সে সময়ে এমনো অভিযোগ উঠেছিল, আরিয়ানের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ার জন্য ১৮ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ঘটনার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সেইলকে। অভিযোগের আঙুল উঠেছিল সমীর ওয়াংখেড়ের দিকে। এরপর তাঁকে মুম্বই থেকে দিল্লির কর বিভাগে বদলি করে দেওয়া হয়।
এবার ফের প্রাক্তন NCB আধিকারিক বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক সিবিআই। শাহরুখের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা না পেয়েই নাকি আরিয়ানকে মাদক মামলায় ফাঁসায় সমীর। সম্প্রতি সমীর ওয়াংখেড়ের চেন্নাইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বেশ বহুমুল্য জিনিস।
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন আধিকারিকের বাড়ি থেকে দুটি বিদেশি ঘড়ি উদ্ধার হয়েছে যার দাম নাকি এতটাই বেশি যে দেশের খুব কম ধনী ব্যক্তির কাছেই হয়তো এটা আছে। সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। সেখানে স্পষ্ট লেখা হয়েছে NCB আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের প্রতিহিংসাপরায়ণতার কথা।
এফআইআরে সিবিআইয়ের তরফে লেখা হয়েছে, শাহরুখের থেকে নাকি ২৫ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন সমীর। নয়তো আরিয়ানের কেরিয়ার ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। শেষমেষ রফা হয় ১৮ কোটি টাকায়। ৫০ লক্ষ টাকা আগাম দেওয়া হয়েছিল এক আধিকারিককে। তারপরেও বাকি টাকা তুলতে ফাঁসানো হয় আরিয়ানকে। খান পরিবারের বিরুদ্ধেও নেতিবাচকতা ছড়ানো হয়। তবে এখন সেই দুঃসময় কাটিয়ে উঠেছেন শাহরুখ আরিয়ান।