বাংলাহান্ট ডেস্ক : দশেরার দিনই বীভৎস ভাবে খুন হলেন এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকী (Baba Siddique)। দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। নবরাত্রির শেষ দিনে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় উৎসবের আমেজে যেন কালি লেপে গিয়েছে। শোকের সঙ্গে তৈরি হয়েছে আতঙ্কের পরিবেশ। উল্লেখ্য, এই বাবা সিদ্দিকীর (Baba Siddique) জন্যই ঝগড়া ভুলে ফের বন্ধু হয়েছিলেন শাহরুখ খান এবং সলমন খান। তাঁর মৃত্যুতে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন সলমন।
গুলিতে খুন বাবা সিদ্দিকী (Baba Siddique)
যেমনটা জানা যাচ্ছে, শনিবার দশেরার দিন রাতে পূর্ব বান্দ্রায় নিজের দফতরের সামনে বাজি ফাটাচ্ছিলেন বাবা সিদ্দিকী (Baba Siddique)। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে বিধায়ক জিশান সিদ্দিকী। হঠাৎ করেই সেখানে এসে উপস্থিত হয় তিনজন দুষ্কৃতী। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে তাঁরা। জানা গিয়েছে, মোট তিন রাউন্ড গুলি চলে এদিন। ছয়টি গুলিতে শরীর ঝাঁঝরা হয়ে যায় বাবা সিদ্দিকীর (Baba Siddique)। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলেও লাভ হয়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় এনসিপি নেতার।
আরো পড়ুন : বিয়ের বছরেই আত্মঘাতী স্বামী, তবুও কার নামে সিঁদুর পরেন? রাষ্ট্রপতিকে কী উত্তর দেন রেখা!
হাসপাতালে যান তারকারা
খবর পেয়েই তারকাদের ঢল নামে লীলাবতী হাসপাতালে। বাবা সিদ্দিকীকে (Baba Siddique) শেষবার দেখতে হাসপাতালে উপস্থিত হন সঞ্জয় দত্ত, শিল্পা শেট্টি, জাহির ইকবালরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন শিল্পা। হাসপাতালে যান সলমনও। বাবা সিদ্দিকীর মৃত্যুতে একটি বড় সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন বলে খবর।
আরো পড়ুন : পুজো প্রেমে শিলমোহর মধুমিতার, পুরনো বিয়ে ভুলে সুপুরুষ প্রেমিককে প্রকাশ্যে আনলেন নায়িকা
তিনিই মিটিয়েছিলেন শাহরুখ সলমনের ঝগড়া
উল্লেখ্য, বাবা সিদ্দিকীর (Baba Siddique) জন্যই কেটেছিল শাহরুখ সলমনের মধ্যেকার জট। দীর্ঘ দ্বন্দ্ব কাটিয়ে আবার এক হয়েছিলেন তাঁরা। প্রতি বছরই বড় করে ইফতার পার্টির আয়োজন করতেন বাবা সিদ্দিকী। এমনি এক পার্টিতে দুই খানকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁদের মধ্যে বরফ গলে ফের বন্ধুত্ব তৈরি হয়। তারপর থেকে বহুবার এই ইফতার পার্টিতে দেখা গিয়েছে শাহরুখ সলমনকে। শোনা যাচ্ছে, বাবা সিদ্দিকীর (Baba Siddique) মৃত্যুর খবরে নাকি সাময়িক ভাবে বিগ বসের শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সলমন
বাবা সিদ্দিকীকে খুনের ঘটনায় তিন দুষ্কৃতীর মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দাবি, তাঁরা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো দলই খুনের দায় স্বীকার করেনি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।