বেনজির কীর্তি! সিঙারা বিক্রেতার একচান্সেই ক্র্যাক NEET UG! কিছু ‘করে দেখাল’ ১৮ বছরের এই যুবক

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছোটবেলা থেকে একটা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করতে মনে। ওষুধের মাধ্যমে কীভাবে অসুস্থ শরীর সুস্থ হয়ে ওঠে? এই প্রশ্নের উত্তর সন্ধানের জন্য বেছে নেওয়া জীবনবিজ্ঞান। ইচ্ছা চিকিৎসক হওয়া। তবে পেটের দায়ে বিক্রি করতে হয়েছে সিঙারা। তা সত্ত্বেও স্বপ্নকে অকাল মৃত্যু বরণ করতে দেননি। সময় পেলেই করেছেন পড়াশোনা।

নিট ইউজি (NEET UG) পরীক্ষায় সাফল্য সানির

সেই ১৮ বছরের সিঙারা বিক্রেতা ক্র্যাক করলেন নিট ইউজি (NEET UG) প্রবেশিকা পরীক্ষা। যার সম্বন্ধে এই কথাগুলি বলা হচ্ছে তিনি হলেন ১৮ বছর বয়সী সানি কুমার। নয়ডার (Noida) বাসিন্দা সানি। দুপুর ২ টোয় স্কুল শেষ হলে সানি স্টলে বিক্রি শুরু করে দিতেন সিঙারা। ৪-৫ ঘণ্টা সিঙাড়া বিক্রি করে বাড়ি ফিরে বসতেন বই নিয়ে। গভীর রাত পর্যন্ত চলত পড়াশোনা।

আরোও পড়ুন : ১ সেপ্টেম্বর থেকে নয়া নিয়ম! এই জিনিস নিয়ে কলকাতায় প্রবেশ নিষেধ, জারি নয়া নির্দেশিকা

সানির এই জীবন সংগ্রামের গল্প শেয়ার করেছেন ফিজিক্স ওয়ালার আলখ পান্ডে। সানি মেডিকেল নিয়ে স্নাতক পড়ার জন্য বসেছিলেন নিট ইউজি (NEET UG) পরীক্ষায়। ২০২৪ সালের নিট পরীক্ষায় ৭২০ এর মধ্যে ৬৬৪ নম্বর পেয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন সানি। আলাখ পান্ডে ফিজিক্স ওয়ালার ইনস্টাগ্রাম পেজে যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে সানির ঘরের দেওয়ালে ঝুলছে অজস্র নোটস।

&

পড়া মনে রাখার জন্য সানি বেছে নিয়েছিলেন এই পন্থা। সানি বলেন, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন সামোসা তার ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারবে না। সারারাত পড়াশোনা করার জন্য অনেক সময় ব্যথা হত চোখে ও হাতে। তারপরেও হাল ছাড়েননি সানি। চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা কেন হল তার? এর উত্তরে সানি বলেছেন, ছোটবেলায় ওষুধ দেখে আমার মনে আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

;

তার কথায়, জানতে চেয়েছিলাম কীভাবে ওষুধের মাধ্যমে নিরাময় হয় রোগ। তাই আপন করে নিয়েছিলাম জীবনবিজ্ঞানকে। ফিজিক্স ওয়ালাতে সানি একাদশ শ্রেণী থেকে পড়াশোনা করছেন। আলখ পান্ডে জানিয়েছেন, তিনি সানিকে ৬ লক্ষ টাকার বৃত্তি প্রদান করবেন। একই সাথে নিট ইউজি (NEET UG) পাশ সানির মেডিকেল কলেজের টিউশন ফি পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন আলখ।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর