বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুদিন ধরে জ্বলছে হুগলির (hooghly) বেশ কয়েকটি এলাকা। গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে বিপর্যস্ত জনজীবন। একেতেই লকডাউন, তাঁর উপর আবার গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সংঘর্ষ। বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, হুগলির বিভিন্ন এলাকায় হিন্দুদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেছেন, হুগলিতে অশান্তি রুখতে ব্যর্থ প্রশাসন। দেখে দেখে হিন্দুদের বাড়িতে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। প্রশাসন নির্বাক দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আরেকদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জী (Mamata Banerjee) বলেছেন, যারা এই অশান্তি ছড়িয়েছে তাদের ছাড়া হবে না। তৃণমূলের একংশের মতে এই অশান্তির পিছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে বিজেপি। ভদ্রেশ্বরের তেলানিপাড়ায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ার পর সেই এলাকা পরিদর্শন করতে যান হুগলির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী। কিন্তু ওনাকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।
আরেকদিকে এই অশান্তি এবং অশান্তির কারণে ছড়িয়ে পড়া গুজব আটকাতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। ২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী হুগলির ১১ টি থানা এলাকায় সম্পূর্ণ ভাবে কেবল এবং নেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভদ্রেশ্বরের তাঁতিপাড়া, সেগুনবাগান, তেলেনিপাড়া (Telenipara) এলাকা জুড়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তি ও হিংসার ঘটনা ঘটেছে। হিংসার খবর কানে আসতেই, এলাকা পরিদর্শনে যান পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসাররা। আর সেখানে গিয়েই এই এলাকা গুলোতে নেট ও কেবল পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।