বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর পরই ১৩৪২১টি শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এরই মধ্যে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় সুযোগ চাই, এই দাবি নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট (Primary TET) অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা।
হাইকোর্টে টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা | Primary TET
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে এই টেট অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মামলা দায়ের করেন। আজ শুক্রবার ৩ অক্টোবর এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের একাংশের আদালতে দাবি, তাদেরকেও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক, নইলে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখার দাবি এই প্রার্থীদের।
কি নিয়ে সমস্যা?
এই প্রার্থীদের দাবি, ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় মোট ৪৭টি প্রশ্ন ভুল ছিল। আগেই সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হাইকোর্ট তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে দিয়েছিল। প্রথমে কলকাতা ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে সেই কমিটি তৈরি হয়। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের উপর সেই দায়িত্ব যায়।
সেই সময় আদালতের নির্দেশ ছিল, বাংলা, ইংরেজি ও চাইল্ড সাইকোলজি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হবে। অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এখনও সেই কমিটির রিপোর্ট জমা পড়েনি। তাদের দাবি মাত্র এক-দু’নম্বরের জন্য তাঁরা উত্তীর্ণ হতে পারেননি। সেক্ষেত্রে ওই কমিটির রিপোর্ট জমা পড়লে অনেকেই উত্তীর্ণ হবেন।
আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের ইতিহাস-ভূগোল বদলে যাবে’, শস্ত্রপুজো সেরে পাকিস্তানকে সতর্কবার্তা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের দাবি এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন। সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই এই বিষয়ে সুরাহা চেয়ে তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।