ভুলে যান প্রমোদতরী, জগন্নাথ মন্দির! দিঘায় এবার নয়া চমক, গেলেই এক্কেবারে হাঁ হয়ে তাকিয়ে থাকবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাঙালি সমুদ্র প্রেমিদের কাছে একটি অত্যন্ত পরিচিত নাম দিঘা। উইকেন্ড হোক কিংবা সাধারণ ছুটি, বাঙালি কিছুদিনের ছুটি কাটাতে পাড়ি জমায় দিঘা। প্রায় সারা বছরই ভিড় লেগে থাকে এই সৈকত শহরে। এই সৈকত শহরে ঘোরা যেমন একদিকে খুবই সস্তার, অন্যদিকে বেশ সহজ। একাধিক রুটের সাথে কানেক্টেড রয়েছে সমুদ্র সৈকত শহর দিঘা।

digha fish auction centre

তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন তিনি দিঘাকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলবেন। এরপর সরকারের উদ্যোগে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে দিঘায়। এখন দিঘা পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় একটি পর্যটন স্থল। সরকারের উদ্যোগে ঢেলে সাজানো হয়েছে গোটা সৈকত শহরকে।

আরোও পড়ুন : পাহাড়-জঙ্গল-ঝর্নায় ঘেরা এই জায়গা! উত্তরবঙ্গ ছেড়ে ঢুঁ মারুন কলকাতার কাছের এই জায়গায়

এছাড়াও পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে রাজ্য সরকার দিঘায় নির্মাণ করছে জগন্নাথ মন্দির। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই মন্দির খুলে যাবে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য। অন্যদিকে পর্যটকদের আরও আকর্ষণ করতে প্রশাসনের তরফ থেকে দিঘায় নামানো হয়েছে বিশাল প্রমোদতরী। 

আরোও পড়ুন : ‘আইবুড়োভাত’ কেন খাওয়ানো হয় বিয়ের আগে? আসল কারণ শুনলে চোখে জল চলে আসবে আপনার

কিন্তু এবার সরকার দিঘার পর্যটকদের জন্য দিতে চলেছে আরো বড় একটি চমক। জানা যাচ্ছে সরকার খুব শীঘ্রই দিঘায় খুলতে চলেছে চিড়িয়াখানা বা মিনি জু। শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রায় চব্বিশ একর জমি রয়েছে সংশ্লিষ্ট সৈকত শহরে। এই জমিতেই চিড়িয়াখানা তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি।

Digha

এমনকি চিড়িয়াখানা তৈরির জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল জু অথরিটির ও অন্যান্য সমস্ত বিভাগের। জানা যাচ্ছে এই মিনি জু’তে রাখা হবে কুমির, ঘড়িয়াল এবং অন্যান্য প্রাণী। দিঘায় চিড়িয়াখানা তৈরি হলে পর্যটকদের আকর্ষণ যে আরো বৃদ্ধি পাবে তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর