বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দোসরা মে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই শাসকদলের (TMC) বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। এমনকি এ নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন রাজ্যপালও (Jagdeep Dhankar)। হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলার ভিত্তিতে বর্তমানে রাজ্যে এসেছে মানবাধিকার কমিশন (NHRC)। শাসক দল যখন ভোট পরবর্তী হিংসার কথা প্রায় পুরোপুরি অস্বীকার করে এসেছে তখন ডিআইজি অফিস থেকে মানবাধিকার কমিশনের হাতে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। যার জেরে বর্তমানে প্রশ্নের মুখে বঙ্গ পুলিশের ভূমিকাও।
কার্যত বঙ্গ পুলিশকে অপদার্থ এবং পক্ষপাতদুষ্ট বলেও উল্লেখ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হাতে আসা রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলায় যে পরিমাণে ভোট-পরবর্তী হিংসা হয়েছে তার নিরিখে এফআইআর দায়েরের পরিমাণ অনেক কম। শুধু তাই নয় যে ৯০৩৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে তাদের মধ্যে থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে মাত্র ১৩৪৫ জনকে। যা দেখতে গেলে অভিযোগের মাত্র ২.৮৮ শতাংশ। তার মধ্যেও বর্তমানে জামিনে মুক্ত ১০৮৬ জন। যা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মানবাধিকার কমিশন।
ডিআইজি অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী হত্যা, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, মারধর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাঙচুর, হুমকি মিলিয়ে থানায় অভিযোগ জমা পড়েছিল মোট ১৯৩৪টি। তবে মাত্র ১১৬৮ টি ক্ষেত্রেই এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাঙচুর এবং লুটপাটের। এক্ষেত্রে রয়েছে ৯৪০ টি অভিযোগ। অপরাধমূলক হুমকির অভিযোগ রয়েছে ৫৬২ টি। মারধরের ঘটনার অভিযোগের সংখ্যা ৩৯১ টি। এছাড়া হত্যার ২৯ টি এবং ধর্ষণের ১২টি অভিযোগ জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে।
প্রতীকী ছবি
কিন্তু এই সমস্ত ক্ষেত্রেই বঙ্গ পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক। মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে ডিআইজি অফিসের রিপোর্টই বলে দিচ্ছে কার্যত পুলিশ এক্ষেত্রে অদক্ষ যার জেরে অপরাধীদের থেকে মানুষকে রক্ষা করার কেউ নেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে পুলিশ মামলাকে লঘু করার চেষ্টা করেছে বলেও দাবি মানবাধিকার কমিশনের।