জগন্নাথ ধামে ৯ অহিন্দু বাংলাদেশীর প্রবেশের চেষ্টা! হাতেনাতে ধরা পড়তেই তোলপাড় পুরীর মন্দিরে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। তবে সেই চেষ্টা তাদের ব্যর্থ হয়েছে। মন্দিরে প্রবেশের আগেই তাদের হাতেনাতে ধরা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। মন্দির কর্তৃপক্ষ সোমবার একটি অফিসিয়াল বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করা হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে।

এই সংগঠন প্রথম তাদের নজরে আনে যে ৯ জন অ-হিন্দু বাংলাদেশি মন্দিরে প্রবেশ করছে। এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয় সিংহদ্বার পুলিশ স্টেশনে। খবর পাওয়ার পর পুলিশ পৌঁছায় মন্দিরে। এই বাংলাদেশী নাগরিকদের গ্রেফতার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশীল মিশ্র জানিয়েছেন, ‘অ-হিন্দু বাংলাদেশি নাগরিকদের একটি দল জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করেন।’

আরোও পড়ুন : আরও ৪%! ভোটের আগেই ফের DA বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী, কবে থেকে মিলবে?

তিনি আরোও বলেন, ‘আমাদের কাছে সেই মর্মে একটি অভিযোগ জমা পড়ে। আমরা ন’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি। কারণ পুরীর মন্দিরে হিন্দু ছাড়া অন্য কোনও ধর্মের মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। আমরা এই ন’জনের পাসপোর্ট খতিয়ে দেখছি। জানা যাচ্ছে, এদের মধ্যে একজন হিন্দু। ন’জনের মধ্যে চারজন মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করেছিলেন। সকলের বিষয়েই খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’

আরোও পড়ুন : ‘রাজীব গান্ধীকেও পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন মমতা’, ‘গদ্দার’ ইস্যুতে মমতাকে ফালাফালা আক্রমণ শুভেন্দুর

পুরীর মন্দিরের সেবায়েত যোগেন্দ্র দশমহাপাত্র জানাচ্ছেন, ‘আমরা অবাক হয়ে যাচ্ছি, কেন পুলিশ কিংবা নিরাপত্তারক্ষীরা পোশাক দেখেও অ-হিন্দুদের চিহ্নিত করতে পারলেন না? অ-হিন্দুদের পুরীর মন্দিরে প্রবেশ আইনের চোখে অপরাধ না হলেও মন্দির কর্তৃপক্ষের অধিকার রয়েছে নির্দিষ্ট জরিমানা ধার্য করার।’

arrested

১২ শতাব্দি প্রাচীন পুরীর এই জগন্নাথ মন্দিরে বরাবর বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। মন্দিরের ভগবান জগন্নাথ দেব পূজিত হন ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসেবে। এরই সাথে নিত্য পুজো করা হয় বড় ভাই ভগবান বলরাম এবং বোন দেবী সুভদ্রার। নিয়ম অনুযায়ী, শুধুমাত্র হিন্দুরাই প্রবেশ করতে পারেন পুরীর মন্দিরের গর্ভগৃহে।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর