২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর সেই রাতের স্মৃতি আবারও পুরো দেশের সামনে। নির্ভয়া নিষ্ঠুরতাকে সহ্য কররছিল এবং জীবন ত্যাগ করেছিল। এই মামলায় এবার দিল্লীতে ৪ জন অমানুষকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হল। জল্লাদ তিহাড় পরিসরে এই ৪ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেশকে একটা বড় স্বস্তি দিল।
মুকেশ, বিনয়,পবন ও অক্ষয় নামের ৪ জন অমানুষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হল। একজন অপরাধী আগেই আত্মহত্যা করেছিল অন্যদিকে মহাম্মদ আফরোজ নাবালক হওয়ার বাহানা দিয়ে ছাড়া আদালত থেকে মুক্তি পেয়েছিল। তবে বাকি ৪ জন অমানুষকে শেষমেষ আদালত ফাঁসিতে ঝোলানোর রায় দেয়। প্রসঙ্গত জানিয়ে দি এই রায়কে পাল্টানোর জন্য মানবাধিকার সংগঠন বহু প্রয়াস চালিয়েছিল যা দেশবাসীর চাপে অসফল হয়ে পড়ে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও অপরাধীরা আশাবাদী ছিল যে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা স্থগিত করা হবে, তবে তা হয়নি।তিহার জেল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে মুকেশ ও বিনয় রাতের আহার সেরেছিলেন। কিন্তু অক্ষয় কেবল চা পান করেছিলেন। আদালতে শুনানি চলার সময় বিনয় কান্নাকাটি করলেও বাকি তিনজন পুরোপুরি শান্ত ছিলেন। গভীর রাতে, যখন অপরাধীরা জানতে পারল যে তাদের ফাঁসি আর থামানো যাচ্ছে না, তখন থেকেই ওই চার আসামি অস্থির হয়ে পড়ে। প্রায় সারা রাত তারা জেগেছিলো ।
শুক্রবার ভোর সোয়া তিনটায় চারজন আসামিকে স্নান করতে বলা হয়। পরে তাদের চা দেওয়া হয় কিন্তু তারা চা খায় নি। তখনও বিনয় কেদে যাচ্ছিলো। এসময় অন্য আসামীরাও ক্ষমা চেয়ে কান্না শুরু করে। এর পরে, তাকে বোঝানো এবং শান্ত করা হয়েছিল। তাঁর শেষ ইচ্ছা জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। এরপরে তাদের ফাসির ঘরে আনা হয় তাদের মুখ বেধে ফাঁসি দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ঠিক সাড়ে পাঁচটায় পবন জল্লাদ ৩ নং জেল সুপারের নির্দেশে লিভারটি টানেন। এই সময়, জল্লাদকে সহায়তার জন্য তিনজন জেল কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। ফাঁসির প্রায় আধা ঘণ্টা পরে চিকিৎসকরা চার আসামিকে মৃত ঘোষণা করেন।