বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের শুরু থেকেই যেভাবে রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপি সংঘর্ষ শুরু হয়েছে তা নির্বাচনী পরবর্তী পর্যায়ে এখনও অবধি অব্যাহত। কখনও পঞ্চায়েত দখল আবার কখনও পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে কখনও উত্তর চব্বিশ পরগনার ভাটপাড়া জগদ্দল, বাঁকুড়া আবার কখনও রাজ্যের অন্য জেলায় তৃণমূল এবং গেরুয়া শিবিরের প্রকাশ্যে সংঘাত লক্ষ্য করা গেছে। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল কোচবিহারের। বুধবার রাতে কোচবিহারের ভেটাগুড়িতে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির দিকে, যদিও বিজেপির তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
কিন্তু তৃণমূল নেতা অনন্ত বর্মণ খুনের ঘটনায় তৃণমূলের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এ বার তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিষেধ প্রামাণিক। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পাল্টা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুললেন তিনি। কোচবিহারের ভেটাগুড়ি ছাড়াও দিনহাটা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে বলে সাংবাদিকদের বৈঠকে জানালেন নিশ্চিত প্রামাণিক।
শুধু তাই নয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যদের তৃণমূলে যোগদান করানোর অভিযোগ তোলেন। অনন্ত বর্মণ খুনের ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করে নিত প্রামাণিক আরও এক কদম এগিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করেছেন, একই সঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে বিজেপির উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি, তাঁদের উপরে মিথ্যা অভিযোগ চাপানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিন তিনি তৃণমূল নেতা মজির উদ্দিন সরকার মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও সাংবাদিক বৈঠক করেন, বিজেপির বিরুদ্ধে মজির উদ্দিন সরকার এর মৃত্যুর যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেই দাবি কার্যত নস্যাত্ করে দেন প্রমাণ সহ, একই সঙ্গে তিনি আরও দাবি করেন যে সময়ে খুনের ঘটনা ঘটেছে তার অনেক পরে তাঁরা পাতলা খাওয়ার বাজার পৌঁছেছিলেন এমনকি এই ঘটনার জন্য তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের বিজেপি নেত্রী তাদের মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করার কথাও জানান তিনি।
এমনকি পাতলাখাওয়া বাজারে পৌঁছনোর আগেই মজিরুদ্দিন সরকার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সেই দাবিও করেছেন তিনি, এমনকি কোচবিহারের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে এই বিষয়ে তাঁর ফোনে বাক্যালাপ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নিশীত প্রামাণিক। তাই এ ভাবেই চলে কোচবিহারের মানুষ রাজ্যের শাসক শিবির ওপর আস্থা হারাবেন বলে মত প্রকাশ করেন সংসদ।