বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম বরিষ্ঠ মন্ত্রী নীতিন গড়করি নিজের আপোসহীন মানসিকতার জন্য সকলের কাছেই কম বেশি পরিচিত। মন্ত্রী থাকাকালীন রাস্তার কাজ বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় নিজের শ্বশুর বাড়ির উপর দিয়ে বুলডোজার চালিয়ে দিতেও দ্বিধা করেননি তিনি। বর্তমান সড়ক পরিবহন মন্ত্রী কয়েকদিন আগেই এই ঘটনার উল্লেখ করেছিলেন একটি অনুষ্ঠানে। এবার ফের একবার সামনে এলো তার আপোসহীন মানসিকতার একটি নিদর্শন।
গড়কড়ির একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, ১৯৯৬-৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি তখন মহারাষ্ট্রের PWD মন্ত্রী ছিলেন। এই সময় ১৯৯৮ সালে মুম্বাই পুনে এক্সপ্রেস হাইওয়ের কাজ শুরু হয়। এই এক্সপ্রেস হাইওয়ে নির্মাণের ক্ষেত্রে গড়করির ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্মাণের কাজ ঠিকঠাক চলছে কিনা, তা জানার জন্য তিনি একটি অদ্ভুত পরীক্ষা করেন। হিন্দুস্তান কনস্ট্রাকশন কোম্পানির মালিক অজিত গুলাবচাঁদকে তিনি জানান, এই রাস্তায় তিনি ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে চলা গাড়িতে বসে চা খাবেন। আর এই চায়ের একফোঁটাও যদি মাটিতে পড়ে, তাহলে এই নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত একজনকেও ছাড়বেন না তিনি।
নিজের কথা অনুযায়ীই কাজ করেছিলেন গড়কড়ি। ১২০-১৩০ কিলোমিটার গতিতে চলা চলন্ত গাড়িতে বসেই থার্মাস থেকে চা পান করেন তিনি। সত্যি সত্যিই চায়ের একফোঁটাও মাটিতে পড়েনি। এই পরীক্ষা দেওয়ার পরেই শেষ পর্যন্ত কনস্ট্রাকশন কোম্পানি তার অ্যাপ্রুভাল লাভ করে। নীতিন গড়করি বলেন, শুধু মুম্বাই পুনে এক্সপ্রেস হাইওয়ের ক্ষেত্রেই নয়, দিল্লি মুম্বাই এক্সপ্রেস হাইওয় এর ক্ষেত্রেও একই রকম পরীক্ষা করেছিলেন তিনি।
ড্রাইভারকে তিনি নির্দেশ দেন গাড়ির গতি ১৮০ কিলোমিটারের উপর তুলে দিতে। নীতিন যখন দেখেন, সেই গাড়িতে বসে থাকা লোকজনেরও কোন অসুবিধা হয়নি তারপরেই তিনি এ বিষয়ে নিজের অ্যাপ্রুভাল দেন। গড়করি বলেন, কাজ করতে গেলে চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যা থাকবে। তবে সেই সমস্যা কি সুযোগ হিসেবে দেখলে তবেই কাজ করা যাবে। আর এটাই হল নেতৃত্ব।